কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি করবেন?
বর্তমান সময়ে ফেসবুক সবচাইতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ার কারণে
অনেকেই চায় যে তার ফেসবুক আইডি বা ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করতে? একটা সময়
ফেসবুক ছিল শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য এইজন্য অনেকেই হয়তো ক্লিয়ার ভাবে এ বিষয়টি
জানেই না যে, ফেসবুক থেকেও বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করে সাবলম্বী হওয়া যায়?
তাই আপনিও কি এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক
বিক্রি করবেন? সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনী আলোচনা করা
হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি
করবেন? এ বিষয়ে সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো,
যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি করে
প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি
করবেন? এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল
শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা
করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
বর্তমান সময়ে সবচাইতে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হলো ফেসবুক। অনেক মানুষ এই
সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন
ক্যাটাগরির ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে প্রচুর পরিমাণে ডলার ইনকাম করছে। তাই আপনিও
যদি আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মনিটাইজেশন চালু করে ও ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক
বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে আপনার ধারণা থাকতে
হবে।
বর্তমান সময়ে মানুষ ফেসবুককে তাদের আয়ের অন্যতম প্লাটফর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছে
এবং এই ফেসবুক থেকে বিশ্বের প্রায় অনেক মানুষই বিভিন্ন উপায়ে ডলার ইনকাম করে
স্বাবলম্বী হচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করত শুধুমাত্র তাদের
বিনোদনের জন্য কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে
ডলার ইনকাম করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে
পারবেন কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি করবেন? এ বিষয় সম্পর্কে। এছাড়াও
ফেসবুক পেজ কি? ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম, কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি
করবেন? ফেসবুক বুস্টের মাধ্যমে পোশাক বিক্রি কিভাবে করবেন? ফেসবুক অ্যাড এর
মাধ্যমে পোশাক বিক্রি,
ফেসবুক অ্যাড কি বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করে? অনলাইনে পোশাক বিক্রি করার উপায়,
ফেসবুক মার্কেটিং কি? ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি করবেন? এ
বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
ফেসবুক পেজ কি?
সাধারণত ফেসবুক পেজ হচ্ছে ফেসবুকের এমন একটি স্থান যেখানে বিখ্যাত ব্যক্তি,
শিল্পী, ব্র্যান্ড, সংস্থা, ব্যবসা ও লাভজনক সংস্থার লোকজন তাদের প্রতি আগ্রহী
অডিয়েন্সদের সাথে সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে পারেন। এছাড়াও কেউ যদি
ফেসবুকের কোন পেজে লাইক কিংবা ফলো করে, তবে তিনি নিজেই নিজের ফিডে সেই পেজের সকল
আপডেট দেখতে পাবে। প্রিয় পাঠক আরো সহজ করে জেনে নেওয়া যাক!
চলুন সহজ কথায় বলতে গেলে ফেসবুক পেজ হচ্ছে এক ধরনের পাবলিক প্রোফাইল। আমাদের
যেমন ফেসবুক এর পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই পার্সোনাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে
আমরা একে অন্যের সাথে মেসেজ কিংবা কল আদান প্রদান করি, ঠিক তেমনি ফেসবুক পেজ
হচ্ছে এক ধরনের পাবলিক প্রোফাইল। যখন আপনি কোন বিখ্যাত ব্যক্তি, ব্র্যান্ড কিংবা
সেলিব্রেটিদের জন্যই মূলত ফেসবুক এই নতুন ফিচারটি চালু করেছেন।
যদি আপনি একজন সেলিব্রেটি হন, তবে আপনি একসাথে লাখ লাখ কোটি কোটি অনুসারীদের সাথে
কানেক্ট হয়ে থাকতে পারবেন। মূলত ফেসবুক পেজে কোনরকম ফলোয়ারের লিমিটেশন নেই।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি কোন ব্র্যান্ড বা সেলিব্রেটি কিংবা কোন বিখ্যাত ব্যক্তি
হয়ে থাকেন, তবে আপনি আপনার নিজস্ব একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন।
কেননা এখান থেকে টাকা আয় করারও অনেক সুবিধা রয়েছে। ফেসবুক পেজে কোনরকম
ফলোয়ারের লিমিটেশন নাই। এখানে আপনি লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এবং
আপনার কনটেন্ট গুলো অনেক মানুষ দেখতে পাবে। আপনি আপনার তৈরি করা কনটেন্ট গুলো
অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা ফেসবুক পেজ দিয়ে কিভাবে পোশাক বিক্রয় করবেন সেই
বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি,আশা করি আপনারা ভালোভাবে বিস্তারিত জানতেও বুঝতে
পেরেছেন। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসবুকে পোশাক বিক্রয় করার জন্য কিভাবে
ফেসবুক পেজ খুলবেন সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক প্রিয় পাঠক আপনারা চাইলে পোশাক
বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে খুব সহজে একটি পেজ খুলে দিতে পারবেন।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত সকল যাবতীয় তথ্য গুলো তুলে ধরবেন।
যেমন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, অবস্থান, প্রতিষ্ঠান
কখন চালু করেছেন ইত্যাদি বিষয়গুলো ভালোভাবে তুলে ধরবেন। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন
নিচে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে একটি ব্যবসায়িক পেজ খুলবেন সেগুলো নিচে উল্লেখ করা
হলো। প্রথমে আপনি ফেসবুকে প্রবেশ করবেন।
এরপর আপনার ব্যক্তিগত একাউন্টে লগ ইন করবেন। ব্যক্তিগত একাউন্টে লগ ইন করে আপনার
ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করবেন। এবার আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট
করতে হবে। এজন্য আপনাকে উপরের থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করে, পেজ অপশনে তা ক্রিয়েট
করতে হবে। এরপর সেখানে আপনার কাছে পেজের একটি নাম চাওয়া হবে, তা দিয়ে ক্রিয়েট
করার কাজটি সম্পন্ন করবেন।
তারপর তারা আপনার কাছে ক্যাটাগরি চাইবে অর্থাৎ আপনি আপনার পেজটি কোন উদ্দেশ্যে
ক্রিয়েট করতে চাচ্ছেন, সেই সম্পর্কে তারা জানতে চাইবে। এখানে আপনার ব্যবসায়িক
সংক্রান্ত সকল যাবতীয় তথ্য প্রয়োজন পড়বে যেমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম,
ঠিকানা, ফোন নাম্বার, ধরন ইত্যাদি সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত একটি বর্ণনা সেখানে দিতে
হবে। ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করা হয়ে গেলে ফেসবুক পেজের রূপ দেওয়ার জন্য প্রোফাইল
ও কভার ফটো যোগ করতে হবে।
এছাড়াও যদি কোন ইভেন্ট থাকে তা যুক্ত করে নিবেন যেমন ফোন নাম্বার, ঠিকানা, খোলা
ও বন্ধ হওয়ার সময় ইত্যাদি। এরপর আপনার ফেসবুক পেজটি পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই
এডমিন, মডারেটর ও এডিটর নির্বাচন করতে হবে। তাহলে আপনার পেজটি সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে
যাবে। প্রিয় পাঠক উপরের নিয়ম গুলো ফলো করে আপনারা খুব সহজে একটি পূর্ণাঙ্গ
ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করতে পারবেন।
কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি করবেন?
সাধারণত বর্তমান সময়ে অনেক ব্যক্তি বিজনেস পেজ খুলে বিজনেস পেজের মাধ্যমে নানা
ধরনের প্রোডাক্ট যেমন ড্রেস, কসমেটিকস ইত্যাদি বিক্রি করছেন। তারা মূলত এই কাজটি
করছেন অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্যবসার
প্রচার প্রচারণা করা যাবে পাশাপাশি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনারা পোশাক বিক্রি
করতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট যেমন পোশাক
বিক্রি করার জন্য প্রথমে আপনাকে কাস্টমারদের সামনে আপনার নিজস্ব একটি পেজ
ক্রিয়েট করে সেটার মাধ্যমে প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে হবে। এতে করে আপনার
প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষজন ভালোভাবে জানতে পারবে। আপনার প্রোডাক্টগুলো যদি ভালো
হয়,তাহলে আপনার প্রোডাক্ট এর প্রতি মানুষের একটি আস্থা বিশ্বাস তৈরি হবে। এই
জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট যেমন ড্রেস কসমেটিক্স ইত্যাদি বিক্রয়ের জন্য
প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ কাস্টমারদের সামনে নিয়ে আসতে হবে।
- ফেসবুক পেজে নিয়মিত পোশাকের ছবি, ভিডিও,রিলস পোস্ট করতে হবেঃ আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে যেন অডিয়েন্সরা ভালোভাবে জানতে পারে এজন্য আপনাকে নিয়মিত আপনার পোশাক গুলোর ছবি,ভিডিও, রিলস,আপনার ফেসবুক পেজে পোস্ট করতে হবে। আপনারা একটা জিনিস মাথায় রাখবেন এমন পোশাক বিক্রি করবেন,যেগুলো মানুষ পছন্দ করবে,যে পোশাক গুলো দেখলে মানুষ আপনার কাছ থেকে নিতে চাইবে, পোশাকের কাপড় কোয়ালিটি যেন ভালো হয়। এতে করে পোশাক বিক্রয় করা আপনার জন্য অনেক সহজতর হয়ে যাবে। সম্মানিত পাঠক এইজন্য আপনার ফেসবুক পেজে নিয়মিতভাবে পোশাকের ভিডিও, রিলস, ছবি, পোস্ট করার চেষ্টা করবেন। এতে ফেসবুক পেজের ফলোয়ারদের সাথে আপনার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকবে। সব সময় ফেসবুক পেজে পোশাক সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য, ছবি, ভিডিও, রিলস, পোস্ট করার চেষ্টা করবেন এবং অপ্রয়োজনীয় পোস্ট করা থেকে বিরত থাকবেন।
- ফেসবুক পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ানোঃ আপনি যে আপনার বিক্রয় করার পোশাক গুলোর ভিডিও, রিলস, ছবি কিংবা স্টোরি দিয়ে ফলোয়ারদের সেগুলো দেখানোর মাধ্যমে পোশাকগুলোর সম্পর্কে ভালোভাবে জানান। ফলোয়ারদের লাইক, কমেন্ট, রিপ্লাই করে তাদের আরো উৎসাহিত করবেন। এছাড়াও আপনার কাছ থেকে পোশাক কিনে অডিয়েন্সরা কতটা স্যাটিসফাই তার একটা রিভিউ নিবেন এবং সে রিভিউ গুলো আপনার ফেসবুক পেজে পোস্ট করুন। যেন আপনার পোশাক সম্পর্কে আপনার ফলোয়ারেরা আরো ভালোভাবে জানতে পারে। এতে করে আপনার ফলোয়ারদের আপনার প্রতি আরো বিশ্বাস আস্থা বাড়বে।
- গ্রুপ মার্কেটিংঃ সাধারণত বর্তমান সময়ে ফেসবুকে ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ রয়েছে। আপনারা সেই গ্রুপ গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনাদের প্রোডাক্ট গুলোর সম্পর্কে এবং প্রোডাক্ট নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভিন্ন জায়গায় পোস্ট করে শেয়ার করতে পারেন। এতে করে আপনার সেবা গুলো দর্শকদের কাছে দ্রুত পৌঁছাবে। আপনার প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে যেমন মানুষ উপকৃত হবে, ঠিক তেমনি আপনার এখান থেকে টাকা ইনকাম হবে। এছাড়াও আপনাকে সব সময় ঐ সকল ফেসবুক পেজ গুলোতে সব সময় একটিভ থাকতে হবে এবং নিয়মিতভাবে আপনার প্রোডাক্ট যেমন পোশাক গুলোর ছবি পোস্ট করতে হবে। আপনার ফেসবুক পেজের এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের পোস্টে লাইক, কমেন্ট ও করতে পারেন, এতে করে এনগেজমেন্ট বাড়বে।
- ফেসবুক লাইভঃ প্রিয় পাঠক আপনারা যদি মনে করেন অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টগুলো সেল করবেন, সেক্ষেত্রে আপনারা অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি ফেসবুক লাইভ করার মাধ্যমেও আপনার পোশাকগুলো সেল করতে পারেন। আপনি প্রতিদিন ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি অডিয়েন্সদের সাথে সংযোগ রক্ষা করার মাধ্যমে আপনার পোশাক সম্পর্কে বিস্তারিত সরাসরি বলে যেমন পোশাকের গুণগত মান, পোশাকের কাপড় কোয়ালিটি, পোশাকের দাম ইত্যাদি ভালোভাবে অডিয়েন্সদের জানিয়ে পোশাকগুলো বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে লাইভ ভিডিওর মাধ্যমেও আপনার পোশাকগুলো দেখাতে পারেন। যে পোশাকগুলো সবচাইতে হাই কোয়ালিটির, কোন কোন পোশাক আপনি বিক্রি করেন, সেগুলো মূল্য তালিকা গুলো দেখাতে পারেন।
- গিভওয়ে আয়োজন করাঃ সাধারণত বর্তমান সময়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার খুবই কার্যকরী কৌশল হলো গিভওয়ে আয়োজন করা। আপনারা যদি গিভওয়ের আয়োজন করেন এতে করে আপনাদের প্রোডাক্ট এর প্রতি দর্শকদের একটা বাড়তি আগ্রহ এক্সাইটমেন্ট তৈরি হবে এবং আপনার ফেসবুক পেজের এনগেজমেন্ট অনেক বৃদ্ধি পাবে। আপনারা যখন গিভওয়ের আয়োজন করবেন সেখানে প্রয়োজনীয় শর্ত এবং নিয়ম নীতিগুলো নির্ধারণ করে দেন যেমন ধরুন গ্রুপে জয়েন হতে হবে, পেইজে লাইক করতে হবে, পোস্টে লাইক, কমেন্ট করতে হবে এবং পোস্টগুলো বেশি বেশি শেয়ার করতে হবে। যে যে সবচাইতে বেশি শেয়ার করবে তাদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কারও রাখতে পারেন। এতে করে অডিয়াসদের মাঝে একটি আগ্রহ এবং এক্সাইটমেন্ট কাজ করবে। এরপর আপনার করা গিভওয়েতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে একজন একজন করে বিজয়ী ঘোষণা করে দিবেন। বিজয়ীদের আপনারা পুরস্কার হিসেবে আপনার পেজের প্রোডাক্ট, সার্ভিস, কিংবা অন্য কোন আকর্ষণীয় পুরস্কার দিতে পারেন। বর্তমান সময়ে গিভওয়ে আয়োজন এর মাধ্যমে বিজনেস অনেক ট্রেন্ডে রয়েছে।
- ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমেঃ সাধারণত বর্তমান সময়ে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ফেসবুকের এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনারা আপনাদের প্রোডাক্টগুলো সেল করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে স্থানীয় এলাকা গুলোতেও আপনার প্রোডাক্ট গুলো যেমন পোশাক বিক্রয় করতে পারবেন। এই মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে ক্রেতারা পোশাকের ছবি, বিবরণ, দাম, পোশাক কোয়ালিটি দেখে পোশাক গুলো ক্রয় করতে পারবে।
ফেসবুক বুস্টের মাধ্যমে পোশাক বিক্রি কিভাবে করবেন?
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আপনারা জানলেন ফেসবুক পেইজ দিয়ে কিভাবে পোশাক বিক্রয় করবেন
সেই সম্পর্কে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক বুস্টের মাধ্যমে কিভাবে পোশাক
বিক্রয় করবেন? সাধারণত ফেসবুকে দুই পদ্ধতির বিজ্ঞাপন যেমন অর্গানিক পদ্ধতি এবং
পেইড পদ্ধতিরই বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে অর্গানিক পদ্ধতি
এবং পেইড পদ্ধতির এই দুই পদ্ধতির বিজ্ঞাপন অনেক জনপ্রিয়। অর্গানিক পদ্ধতি হচ্ছে
এখানে আপনাকে কোন রকম টাকা ব্যয় করতে হবে না,
এমনি এমনি আপনার ফেসবুক পেইজে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে পারেন। আর পেইড পদ্ধতিতে
টাকা দিয়ে বুস্ট করতে হয়। পেইড পদ্ধতিতে বুস্ট করতে হয়। আর বুস্ট করতে গেলে
সেখানে টাকা ব্যয় হয়। তাই পেইড পদ্ধতিতে টাকা খরচ হয়। প্রিয় পাঠক আপনি যদি
অর্গানিক পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসবুকে পোশাক বিক্রয় করতে চান, সেক্ষেত্রে কোনরকম
বাড়তি টাকা খরচ হবে না। কিন্তু যদি আপনি বুস্ট করার মাধ্যমে ফেসবুকে পোশাক
বিক্রয় করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই টাকা ব্যয় করতে হবে।
- প্রিয় পাঠক আপনি যে পোশাকগুলো বুস্টের মাধ্যমে বিক্রি করতে চাচ্ছেন, প্রথমে সেই পোশাকগুলো নির্বাচন করুন। আর সেই প্রোডাক্ট গুলোতে কেমন প্রতিযোগিতার রয়েছে সেগুলো আপনাকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কেননা আপনার থেকে আরো বড় বড় কোম্পানি রয়েছে, যারা ফেসবুক বুস্টে এর মাধ্যমে পোশাক বিক্রি করছেন। এজন্য প্রোডাক্ট সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল বিষয় ভালোভাবে জেনে নিন। সম্মানিত পাঠক এই কাজগুলো আপনি খুব সহজে ফেসবুক এড ম্যানেজার এর সহায়তায়ও করে নিতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ফেসবুক এড ম্যানেজার এ যাওয়ার পর ইন্টারটেস্ট অপশনে সার্চ করতে হবে। তাহলে আপনি সেখানে পোশাক সম্পর্কিত সকল পেজ খুব সহজেই খুঁজে পেয়ে যাবেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি সঠিকভাবে টার্গেট ক্যাটাগরি বাছাই করতে পারেন, তবে এই বিষয় সম্পর্কে আপনি স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।
- প্রিয় পাঠক আপনার পেজের যে সকল ভিজিটররা রয়েছেন তাদের সুবিধার্থে তাদের জন্য আপনার প্রোডাক্টগুলো পুনঃপ্রচার করুন। আপনার পোশাকগুলোর উপরে অডিয়েন্সদের যেমনই আগ্রহ থাকুক না কেন? তারা কিন্তু আপনার পোশাকগুলো দেখার জন্য আপনার পেজে ভিজিট করতে এসেছে। এজন্য আপনি যদি এই বহু সংখ্যক ভিজিটরদের উদ্দেশ্যে একটি কাস্টম অডিয়েন্স ক্রিয়েট করতে পারেন, তবে আপনার পোশাকগুলোর জন্য এটি একটি দারুন রি-মার্কেটিং হবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি কাস্টম অডিয়েন্স তৈরি করতে চান, সেক্ষেত্রে মাসের শুরুর দিকে কাস্টম অডিয়েন্স তৈরি করা সবচেয়ে উত্তম।
- প্রিয় পাঠক আপনার পোশাকগুলো বিক্রয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে অডিয়েন্স টার্গেট করতে হবে। যারা আপনার প্রোডাক্টগুলো একই সময়ে দেখেছে বা সেগুলোকে ভার্চুয়াল ওয়ালেটে রেখেছে তাদেরকে টার্গেট করুন। যে সকল ক্রেতারা আপনাকে ভার্চুয়াল ওয়ালেটে রেখেছে সেই সকল ক্রেতাদেরকে ইমেইল বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার পোশাকগুলো সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রেরণ করুন। এছাড়াও আপনি চাইলে ছবি কিংবা লিংক আকারেও তাদের কাছে দিতে পারেন কোন সমস্যা নাই।
- প্রিয় পাঠক বর্তমান সময়ে আপনার কাছ থেকে যে সকল ক্রেতারা আপনার পোশাকগুলো ক্রয় করেছে তাদের কাছে চাইলে আরো আপনি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। একটা কথা মাথায় রাখবেন আপনার কাছ থেকে একবার প্রোডাক্ট ক্রয় করার পর দ্বিতীয়বার যারা ক্রয় করবে বুঝে নিবেন আপনার অবশ্যই কাপড় কোয়ালিটি,কাপড়ের গুণগতমান ভালো, আপনার উপর তারা বিশ্বাস আস্থা পেয়েছে। যারা দ্বিতীয় বার আপনার কাছে পোশাক ক্রয় করবে বুঝে নিবেন ইতিমধ্যেই আপনি তাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পেরেছেন। আর এই জন্য আপনি আপনার ব্র্যান্ডের পোশাকগুলো পুনরায় তাদের কাছে বিক্রয় করতে পারে।
- এছাড়াও আপনারা চাইলে আপনাদের ফেসবুক পেজে এসইও এর কাজ করে নিতে পারেন। আপনি যদি আপনার ফেসবুক পেজে এসইও এর কাজ করে নেন, তবে খুব দ্রুতই আপনার পেজ অনেক সংখ্যক লোকজনের কাছে পৌঁছাবে। এতে করে আপনার ফেসবুক পেইজে যেমন ট্রাফিক অনেক বৃদ্ধি পাবে, ঠিক তেমনি আপনি আপনার পোশাকগুলো অনেকের কাছে বিক্রয় করতে সক্ষম হবেন।
সাধারণত ফেসবুক অ্যাড যেমন কাস্টমারদের কাছে আপনার প্রোডাক্টগুলো বিক্রয় করে
দেবে, ঠিক তেমনি আপনার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, ফ্রেন্ড সার্কেল সকলকে এই
বিষয়ে জানান দেয়। এজন্য আপনার রেফারেল প্রোগ্রামের প্রয়োজন হবে। আপনি চাইলে পপ
আপ রেফারেল নিউজ ফিডে চালু করতে পারেন।
ফেসবুক অ্যাড এর মাধ্যমে পোশাক বিক্রি
সম্মানিত পাঠক ফেসবুক পেজ দিয়ে কিভাবে আপনারা প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন আশা করি
বিস্তারিত ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। আপনি যেই পোশাক গুলো বিক্রয় করছেন পোশাকের
বিক্রয় সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ফেসবুক অ্যাড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফেসবুক এড এর মাধ্যমে আপনার পোশাক গুলোর
প্রচার-প্রচারণা করেন, তাহলে কাস্টমারদের কাছে আপনার টার্গেট খুব সহজেই পৌঁছে
যাবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন মার্কেটিং কি? - অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে করব? - অনলাইন মার্কেটিং করার
সেরা ১০টি কৌশল
এতে করে আপনার পোশাক বিক্রয় সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। প্রিয় পাঠক আপনারা যদি
অনলাইন প্লাটফর্মে খুবই ভালো পরিমাণে পোশাক বিক্রয় করতে চান, আপনাদের পোশাকের
বিক্রয় আরও বৃদ্ধি করতে চান, সেক্ষেত্রে ফেসবুক এড ব্যবহার করতে পারে। আপনি যদি
ফেসবুক এড ব্যবহার করে পোশাক বিক্রয় করেন, তাহলে আপনার পোশাক বিক্রয় অনেক
বৃদ্ধি পাবে।
ফেসবুক অ্যাড কি বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করে?
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফেসবুক এড দেয়ার মাধ্যমে পোশাক বিক্রয় করেন, তবে আপনার
পোশাক বিক্রয়ের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। কেননা এড দেওয়ার মাধ্যমে আপনার
পোশাকগুলো অনেক মানুষের নিকট পৌঁছাবে, তারা দেখতে পাবে। ফলে তারা আপনার পোশাকগুলো
দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং দেখতে আসবে। তাদের যদি আপনার পোশাকগুলো ভালো লেগে
যাই, তাহলে তারা পোশাকগুলো আপনার কাছ থেকে ক্রয় করবে।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট গুলোর বিক্রয় বাড়াতে চান, সেক্ষেত্রে
ফেসবুক অ্যাড এর সাহায্য নিতে পারেন। এতে করে আপনার যেমন অনেক মানুষের নিকট
পোশাকের এড পোশাক সম্পর্কিত তথ্য পৌঁছাবে। তারা সেগুলো দেখে পছন্দ হলে যেমন ক্রয়
করবে ঠিক তেমনি আপনি এখান থেকে লাভবান হবেন।
অনলাইনে পোশাক বিক্রি করার উপায়
সাধারণত বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে পোশাক সহ নানা ধরনের প্রোডাক্ট
সার্ভিস বিক্রয় হচ্ছে। আর সেগুলো মানুষ কিনছেও। প্রিয় পাঠক আপনারা চাইলে
আপনারাও ছোট পরিষদে প্রথমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং আপনার সেই ব্যবসার
প্রোডাক্টগুলো সেটা পোশাক হতে পারে, কসমেটিকস হতে পারে বা অন্য কিছু হতে পারে,
সেগুলো আপনারা অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে খুব সহজে বিক্রয় করতে পারবেন।
তবে অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবসা করার জন্য আপনাদের কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
যেমন ধরুন ফেসবুকে আপনার একটি নিজস্ব পেজ খুলে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস
সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে। সেখানে আপনি আপনার শোরুমের যাবতীয় তথ্য যেমন
নাম, ফোন নাম্বার, ঠিকানা ইত্যাদি বিষয়গুলো যুক্ত করবেন। এছাড়াও কাস্টমার চাইলে
দোকানে এসে প্রোডাক্ট পারচেস করতে পারবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে ক্রেতাদের কাছ থেকে অনলাইন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে প্রি-অর্ডারও
নিতে পারেন এবং যথাযথ সময়ে তাদের কাছে প্রোডাক্ট ডেলিভারির মাধ্যমে পৌঁছে দিতে
পারেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই উপায়গুলো অবলম্বন করে প্রোডাক্ট বিক্রি করেন,
তাহলে দেখবেন আপনার প্রোডাক্ট ভালো পরিমাণে বিক্রয় হচ্ছে।
ফেসবুক মার্কেটিং কি?
সাধারণত বর্তমান সময়ে ফেসবুক মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া, যা মূলত
আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে সকল তথ্য
পৌঁছাতে সহায়তা করবে। বর্তমান সময়ে ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবসার জন্য গ্রাহকদের
সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে এবং পেজের অডিয়েন্সদের
আগ্রহ ধরে রাখতে দারুন কাজ করে।
একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পক্ষে ব্যবসা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে পাবলিশ
করা সম্ভব নয়। কিন্তু সে চাইলে খুব সহজে ফেসবুক মানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে
একটি পেজ খুলে সে তার কোম্পানির প্রমোট করতে পারে। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে
কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে এবং প্রোডাক্ট
ও সার্ভিসের প্রচার-প্রচারণা করতে পারে। সাধারণত বর্তমান সময়ে সকল ছোট থেকে বড়
ব্র্যান্ড বা কোম্পানির নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
সহজ কথাই বলা যায় বর্তমান সময়ে ফেসবুক মার্কেটিং হচ্ছে অডিয়েন্সদের সাথে
যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুসম্পর্ক বজায় এবং বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের
প্রচার-প্রচারণা করার খুবই কার্যকরী একটি কৌশল হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং। প্রিয়
পাঠক আপনি যদি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন, তবে আপনিও এই প্রক্রিয়াতে
বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয় করতে পারেন।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা
সাধারণত বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে
ফেসবুক। এখানে মূলত বিশ্বের যে কোন স্থানে অবস্থান করে বিশ্বের সফল মানুষ একসাথে
যুক্ত হতে পারেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এখানে যুক্ত হতে চান, তাহলে আপনিও যুক্ত
হতে পারবেন। আপনি ঘরে বসেই কোন রকম ঝামেলা ছাড়া খুব সহজেই এই প্ল্যাটফর্মের
মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ক্রয় করতে পারবেন।
আপনাকে কষ্ট করে বাইরে যাওয়া লাগবে না। আপনি প্রোডাক্ট শুধু এই অনলাইন
প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রোডাক্ট পছন্দ করে অর্ডার দিবেন, আপনার প্রোডাক্ট আপনার
ঘরে পৌঁছে যাবে। বর্তমান সময়টা কত আধুনিক তাই না। এছাড়াও প্রিয় পাঠক আপনি
চাইলে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসাও শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের
প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক মানুষ ব্যবসা করছেন, নানান
ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করছেন,আর এখান থেকে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমানে টাকা
আয় করছেন। প্রিয় পাঠক অযথায় ঘরে বসে সময় নষ্ট না করে আপনি চাইলে আপনিও এই
প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
লেখকের ইতি কথাঃ কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি করবেন?
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক
বিক্রি করবেন? এ বিষয়ে সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। একটা
সময় ফেসবুক শুধুমাত্র মানুষ তাদের বিনোদনের জন্যই ব্যবহার করত কিন্তু বর্তমান
সময়ে ফেসবুক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু কার্যকরী উপায় অবলম্বন করলে ফেসবুক
থেকে টাকা ইনকাম করে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। এজন্য কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক
বিক্রি করবেন?
এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করলে আপনি খুব সহজেই
ফেসবুক মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাকে খেয়াল
রাখতে হবে এই আর্টিকেলে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনার ফেসবুক পেজ বা একাউন্টে ঠিকঠাক
আছে কিনা। এই আর্টিকেলে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে আপনার ফেসবুক পেজ সেটআপ করে নিলে
আপনি খুব ইজিলি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এই ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি করবেন? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে
পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। কিভাবে ফেসবুক পেইজ দিয়ে পোশাক বিক্রি করবেন?
এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই
নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন
কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url