কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে?

কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে? এ বিষয়ের সমাধান জেনে আপনি কি একটি সুখকর, স্বাবলম্বী এবং সচ্ছল জীবন যাপন করতে চান? তাহলে আপনার আর চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে? সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে?
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে? এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো, যেগুলিকে জেনে আপনি খুব সহজেই আপনার জীবনের অসচ্ছলতার যাবতীয় চড়াই উতরাই কে পার করে স্বাবলম্বী ও সচ্ছল ভাবে জীবনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে সুখকর জীবনযাপন করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে? এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভূমিকা

সম্মানিত পাঠক আপনাদের সামনে আজকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেটির মাধ্যমে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন কেন আপনি এখনও গরিব রয়েছেন? মূলত আপনার গরিব থাকার মূল কারণ কখনোই আপনার আয় হতে পারে না, বরং আপনি আপনার নিজের উন্নতির জন্য কতটুকু পরিশ্রম করছেন সেটাই মূল বিষয়। 
বর্তমান সময়ে গরিব থাকার আরেকটি বড় মূল কারণ হচ্ছে শুধুমাত্র অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া। প্রিয় পাঠক আপনি যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে চান, নিজের উন্নতি করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই নিজের উপর ইনভেস্ট করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনাই হচ্ছে কেন আপনি এখনো গরীব রয়েছেন? কোন কোন কাজগুলো আপনি না করলে সারা জীবনই আপনাকে গরিব হয়ে থাকতে হবে, আপনার কখনো উন্নতি হবে না। 

প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কেন আপনি এখনো গরিব রয়েছেন আর কোন কাজগুলো আপনি না করলে সারা জীবন গরিব থাকবেন সেগুলো নিজে উল্লেখ করা হলো। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন, তাহলে কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে? সেই সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জানতে পারবেন। 

এছাড়াও নিজের উপর ইনভেস্ট না করা, শুধুমাত্র স্বামী বা একক আয়ের উৎসের উপর নির্ভর করে থাকা, পরিকল্পনা ছাড়াই উপার্জিত অর্থ খরচ করা, শুধুমাত্র চাকরির ওপর নির্ভর করে থাকা, জীবনে কিছু করতে চাইলে নিজের উপর বিনিয়োগ করুন এই বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে? এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

নিজের উপর ইনভেস্ট না করা

সফলতা কথাটা সহজ মনে হলেও যে কোন কাজে সফলতা অর্জন করা সহজ কাজ না। বরং সফলতা অর্জন করতে হলে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা করা, কঠোর পরিশ্রম করা এবং নির্ভরযোগ্য সিদ্ধান্ত, তাহলেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আপনি যদি অন্যের উপর নির্ভরশীল হন যেমন অন্যের আয় বা অন্যের সাহায্য সহযোগিতার উপর, তাহলে আপনি কখনোই আপনার জীবনকে অর্থপূর্ণ করে গড়ে তুলতে পারবেন না। 
আপনি কখনোই সেই স্বাধীনতা পাবেন না, যা আপনাকে অর্থপূর্ণ করবে পাশাপাশি আপনাকে আপনার উন্নতি শিখরে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং নিজেকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। নিজের উপর ইনভেস্ট করা মানে, শুধু যে টাকা ইনভেস্ট করা বিষয়টা তেমন নয়, এটি মূলত আপনাকে বোঝানো হয়েছে। নিজের উপর ইনভেস্ট করা মানে হচ্ছে আপনার জ্ঞান অর্জন করা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা এবং নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত নানান বিষয় ইত্যাদি। 

প্রিয় পাঠক আপনি যদি আপনার মূল্যবান সময় এবং শক্তি অযথাই অন্যদের উপর নির্ভরশীল হয়ে কাটিয়ে দেন, তাহলে আপনি কখনোই নিজের উন্নতি বয়ে নিয়ে আসতে পারবেন না। প্রিয় পাঠক একটা কথা সবসময় মাথায় রাখবেন সফলতা কখনোই এমনি এমনি আসে না। সফলতা পেতে হলে আপনার নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলতে হবে,যেন আপনাকে সফলতা খুঁজতে না হয়, সফলতা যেন এমনি এমনি আপনার হাতের মুঠো এসে ধরা দেয়।

শুধুমাত্র স্বামী বা একক আয়ের উৎসের উপর নির্ভর করে থাকা

কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে?
সাধারণত বর্তমান সময়ে অনেক সংসারী নারী রয়েছেন যারা মূলত পুরোপুরি স্বমীর আয়ের উপর নির্ভর করে থাকেন। প্রিয় পাঠক আপনি কি একজন সংসারী নারী? এবং আপনি কি আপনার স্বামীর আয়ের উপরে পুরোপুরি নির্ভর করছেন? তাহলে হয়তো আপনি বুঝতে পারবেন আপনি আর্থিক স্বাধীনতা অনেক বাইরে অবস্থান করছেন। 

কিছু সময়ের জন্য আপনার এই পরিস্থিতিটা আরামদায়ক মনে হবে এটা ঠিক, তবে আপনার ক্ষমতা পাশাপাশি আপনার নিজের আত্মবিশ্বাস ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকবে। একটা মেয়ের সংসারী হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক স্বাধীনতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। কেননা বর্তমান সময়ে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যেখানে মেয়েরা অবহেলিত হয় শুধুমাত্র ইনকাম করতে না পারার কারণে। শুনতে হয় তাদের সংসারে অনেক কটু কথা। 
তবে সব ফ্যামিলি যে এক বিষয়টা তেমন নয়, ব্যতিক্রম কিছু ফ্যামিলি রয়েছে, কিন্তু ম্যাক্সিমাম পরিবারে মেয়েদের টাকা ইনকাম না করার বিষয়ে অনেক কটু কথা শোনানো হয়। তবে আপনি যদি নিজের একটি কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পারেন, তবে দেখবেন আপনি মনে অনেক প্রশান্তি পাচ্ছেন। দেখবেন আপনি আপনার নিজের হাতেই রয়েছেন। আপনার আর্থিক স্বাধীনতাও ফিরে পাবেন। 

তবে প্রত্যেক মেয়েরই বর্তমান সময়ে কোন না কোন কাজ করে যেমন ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন ব্যবসা, বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করেও মেয়েরা ঘরে বসেও কাজ করতে পারবে। এতে করে তাদের যেমন একটি ইনকামের পথ তৈরি হবে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে, ঠিক তেমনি আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে পাশাপাশি মেয়েরা আর্থিক স্বাধীনতা ফিরে পাবে। প্রথম প্রথম আপনারা যখন কোন কিছু শুরু করবেন, 

তখন হয়তো অনেক কঠিন মনে হবে, তবে একসময় ঠিকই বুঝবেন নিজে অর্থ উপার্জন করাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নিজের মূল্যবান সময় গুলো অযথাই নষ্ট না করে, নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করুন, প্রথমে ছোট পরিষরে নিজে কাজ শুরু করুন, নিজের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে নিজের শক্তিতে দাঁড়াতে শিখুন। সত্যি বলছি দেখবেন সাফল্য আপনারই হবে। সফলতা আপনি অবশ্যই অর্জন করবেন।

পরিকল্পনা ছাড়াই উপার্জিত অর্থ খরচ করা

সাধারণত বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ রয়েছে ছোট ছোট খরচ গুলোর দিকে খেয়াল করে না, অযথাই যেটা সংসারে লাগবে না বা যেটা তার প্রয়োজন নাই সেটাও টাকা খরচ করে কিনে ফেলে। যা নিতান্তই অপচয় ছাড়া কিছুই নয়। যেটা মূলত তারা অযথাই ছোট ছোট জিনিসে খরচ করে সেটা যদি তারা সঞ্চয় করে, দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়, তাহলে একসময় অনেক টাকা জড়ো বা সঞ্চয় হবে। 

কিন্তু যখন তারা এই ছোট ছোট খরচ গুলো করে তখন দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় এবং আর্থিক স্বাধীনতায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রিয় পাঠক আপনি যদি প্রতিদিনের খরচ পরিকল্পনা করে না করেন, তবে আপনি কখনোই টাকা সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন না। টাকা সঞ্চয় করতে হলে অবশ্যই পরিকল্পনা করে টাকা খরচ করতে হবে। 
আপনারা যদি টাকা সঞ্চয় করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনারা এই ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন যেমন ধরুন বাজারে আপনি বিশেষ কিছু জিনিস কিনতে গিয়েছেন এখন আপনাকে ভাবতে হবে আদৌ কি আপনি এই জিনিস গুলো কিনে লাভবান হচ্ছেন নিজেকে প্রশ্ন করুন। আপনি যে জিনিসটা কিনছেন সেটা কি কাজের জিনিস সেটির মাধ্যমে আপনি কি উপকৃত হচ্ছেন, যদি সেটা আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস না হয়, তবে কেনার দরকার নেই। 

সেখান থেকে যে টাকাটা আপনার বাঁচবে সেটা আপনি সঞ্চয় করুন। এছাড়াও কিছু কিছু সময় নিজের জন্য একটা বাজেট তৈরি করুন। প্রত্যেক মাসে আপনি যে আয় করবেন অবশ্যই আয়ের চেয়ে ব্যয় কম করবেন। প্রত্যেক মাসে আপনি কি কি জিনিস কিনছেন? কত টাকা খরচ করছেন? সব কিছু একটি খাতায় তুলে রাখুন। মাসের শেষে একসাথে যোগ করুন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার সংসারে কিরকম খরচ হচ্ছে। 

এছাড়াও প্রত্যেক মাসে সংসার খরচ বাদে সঞ্চয়ের জন্য কিছু টাকা সরিয়ে রাখুন। আপনি যদি আপনার খরচের দিকে মনোযোগ দেন, তবে নিজেই আপনি আপনার ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারবেন। অন্যথায় কোন বাছ বিচার চিন্তা-ভাবনা না করেই যদি টাকা খরচ করেন, তবে আপনার হাতে যে টাকা থাকবে তা তখনই শেষ হয়ে যাবে, মাস শেষে কোন সঞ্চয় করতে পারবেন না। সর্বশেষ আবারো গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বলি আয়ের চেয়ে ব্যয় কম করবেন এবং প্রত্যেক মাসে সংসার খরচ বাদে কিছু টাকা সঞ্চয়ের জন্য আলাদা করে রাখুন।

শুধুমাত্র চাকরির ওপর নির্ভর করে থাকা

বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষই চাকরির উপর নির্ভরশীল। তবে বাস্তব কথা কি জানেন চাকরি কখনো একজন মানুষকে স্বাধীনতা এনে দিতে পারে না। চাকরি মানে হচ্ছে অন্যের আন্ডারে কাজ করা, চাকরি মানে হচ্ছে অন্যের গোলামী করা, চাকরি মানে হচ্ছে যেখানে নিজের কোন স্বাধীনতা থাকবে না। আপনি যতো বড় চাকরি করুন না কেন? আপনি যতো বড়ই পদে নিযুক্ত থাকুন না কেন? তাও আপনাকে আর্থিকভাবেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। 

আপনার কোন স্বাধীনতা থাকবে না। আর আপনি যখন একটা কোন চাকরির উপর নির্ভরশীল হবেন, তখন কিন্তু আপনার আয় একটাই আয়ের পথ একটাই। মূলত এখানে নিতান্তই আপনার আয় অন্যের উপর নির্ভর করছে। তবে সম্মানিত পাঠক আপনি যদি নিজেই একটা ব্যবসা শুরু করেন, কিংবা আপনি কোন কিছু যেমন সেটা ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে নিজে ভালোভাবে শিখে অন্যকে শেখাতে শুরু করুন।
একসময় দেখবেন আপনার আয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আপনার আয়ের পথ দিন দিন আরো প্রশস্ত হবে। আপনার কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, পারদর্শিতা, দিন দিন উন্নতি হতে থাকবে। আর এর মাধ্যমে এখান থেকে আপনি আপনার আর্থিক স্বাধীনতা পাবেন। প্রিয় পাঠক একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন চাকুরী কখনোই আপনার জীবনকে বদলাতে পারবেনা। কেননা চাকুরী এক জায়গায় সীমাবদ্ধ। 

তবে আপনি যদি আপনার পরিশ্রম দিয়ে নিজেই ইউনিক কিছু করেন যেমন ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি তবে আপনার জীবনটাই বদলে যাবে। আপনার আয়ের পথ প্রশস্ত হবে পাশাপাশি আপনি আপনার জীবনকে প্যাশন ও পরিশ্রম দিয়ে রঙিন করে তুলতে পারবেন। সুতরাং প্রিয় পাঠক কখনোই চাকরির উপর নির্ভরশীল হবেন না। 

সব সময় চিন্তা করুন কোন কোন কাজগুলো করলে আপনার আয়ের পথ প্রশস্ত হবে, আপনার আয় বৃদ্ধি পাবে, সেই কাজ গুলোই করুন। উন্নতি করতে চাইলে পরিশ্রম কম করতে হবে, তবে সেখান থেকে যেন আয় বেশি হয়। এখন অনেক পরিশ্রম করলেন সেখান থেকে আয় ভালো হচ্ছে না, তাহলে তো হবে না। পরিশ্রম কম করতে হবে আর আয় বেশি করতে হবে।

জীবনে কিছু করতে চাইলে নিজের উপর বিনিয়োগ করুন

জীবনে কিছু করতে চাইলে নিজের উপর বিনিয়োগ করুন
প্রিয় পাঠক আপনি আপনার নিজের শক্তি বৃদ্ধি করতে পাশাপাশি দক্ষতা বাড়াতে নিজেকে সময় দিন। নিজেকে শুধু সময় দিলেই হবে না বেশি বেশি পরিচর্যা করুন। ভাবুন কি করলে আপনার উন্নতি হবে? কোন কোন পদক্ষেপ গুলো নিলে আপনি জীবনে উন্নতি করতে পারবেন? আপনি যদি এভাবে নিজের জীবনকে পরিচালিত করেন, তবে দেখবেন একদিন আপনার আর্থিক পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গেছে দেখবেন আপনি জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারছেন। 

 আর যদি আপনি নিজে কিছু না করে শুধুমাত্র অন্যদের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকেন, তবে আপনি কখনোই আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবেন না, জীবনে উন্নতিও করতে পারবেন না। তাই অযথাই ঘরে বসে আপনার মূল্যবান সময় এবং শক্তি নষ্ট না করে, আপনার বুদ্ধিমত্তা ও কঠোর পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে আজই যেকোনো ছোটখাটো কাজ দিয়ে আপনার পদক্ষেপ গুলো শুরু করুন। 
হয়তো প্রথম প্রথম আপনার শুরুটা অনেক কঠিন মনে হতে পারে, তবে আপনার সিদ্ধান্ত এবং ছোট ছোট পদক্ষেপ গুলো যখন একসময় সাফল্যের রূপ নেবে তখন আপনিই অনেক প্রশান্তি পাবেন। তখন আপনি যেমন আপনার অর্থপূর্ণ জীবন গড়ে তুলতে পারবেন, ঠিক তেমনি আপনার নিজের স্বাধীনতা থাকবে। আপনি যখন আপনার নিজের উপরে ইনভেস্ট করবেন একদিন আপনার এই ইনভেস্টমেন্ট আপনার জীবনের সেরা অবস্থানে আরোহন করবে। 

তাই জন্য প্রিয় পাঠক আজ থেকেই নিজেকে পরিবর্তনের কাজ শুরু করে দিন। কেননা আপনার নিজের ভবিষ্যৎ আপনার নিজের হাতেই। কেউ আপনার ভবিষ্যৎ গড়ে দেবেন না। যেহেতু আপনার নিজের ভবিষ্যৎ আপনার নিজের হাতে, সেহেতু আপনার নিজের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য আজ থেকেই নিজেকে পরিবর্তন করা শুরু করুন।

লেখকের ইতি কথাঃ কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে?

সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমান সময়ে মানুষ পৃথিবীর বুকে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও আত্মমর্যাদার অধিকারী হয়ে এই জীবনকে সুন্দরভাবে সম্মানের সাথে কাটাতে চাই। কিন্তু প্রত্যেকেই উক্ত বিষয়গুলো পাওয়ার জন্য এবং একটি স্বচ্ছল ও সাবলম্বী জীবনকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে সুখকর জীবন কাটাতে প্রত্যেকেই চাই। 

সেহেতু উল্লেখিত বিষয়গুলি মাথায় রেখে নিয়ম অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে কাজের ধারাবাহিকতা রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই আপনি এই এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে সুন্দর ও সুখকর বা জান্নাতের একটি টুকরো হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন। এজন্য ক্ষণস্থায়ী জীবনের এক টুকরা সুখের দেখা পেতে হলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভরসা রেখে সাধ্য অনুযায়ী পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি খুব দ্রুতই একটি সুখী ও সুন্দর সাজানো গোছানো সচ্ছল ও সম্মানের সহিত জীবন যাপন করতে পারবেন।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন। 

যেন তারা কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। কেন আপনি আরোও গরিব হচ্ছেন? এবং মানুষ কেন গরিব থাকে? এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বাক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url