ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z

আপনি কি খুব দ্রুত সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে। আর এটি খুব অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার একটি অন্যতম ব্যবসা। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও কার্যকরী আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই অল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে পারবেন। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি ব্যবসাটি অল্প সময়ে কতটা লাভজনক ব্যবসা। তাই আপনি যদি ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্যগুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.

ভুমিকা

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষই খুব অল্প সময়ে সচ্ছল বা স্বাবলম্বী হতে চাই। এই জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে এবং বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। কিন্তু কার্যকরী কিছু উপায় ও পদ্ধতি না জানার কারণে অনেকেই সফল বা লাভবান হতে পারে না। আজকের এই আর্টিকেলটির আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে। 
আপনি যদি ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পূর্ণ ভালোভাবে জেনে নেন, তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে পারবেন। ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা থাকলে খুব সহজেই নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। অনেকেই অনেক ভাবে জানার চেষ্টা করে থাকে, 

কিন্তু আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে তথ্যবহুল সব আলোচনা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও ফাউমি মুরগির বৈশিষ্ট্য, ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি, ফাউমি মুরগির ঘর তৈরি, ফাউমি মুরগির খাদ্য ব্যবস্থাপনা, ফাউমি মুরগির স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ, ফাউমি মুরগির প্রজনন ও ডিম উৎপাদন, 

ফাউমি মুরগির খাদ্য সম্পূরক ও বাচ্চার পরিচর্যা, ফাউমি মুরগির লাভজনক দিক, ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়? ফাউমি মুরগির দাম কত? ফাউমি মুরগির বাচ্চার দাম ২০২৫, ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা, ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা, ফাউমি মুরগির ডিমের দাম ২০২৫, 

ফাউমি মুরগির বাচ্চা চেনার উপায়, ফাউমি মুরগি কত কেজি ওজন হয়? ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়? এই বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনি যদি ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।

ফাউমি মুরগির বৈশিষ্ট্য

সাধারণত ফাউমি মুরগির রং ধূসর-কালো ও সাদা মিশ্রিত পালক হয়ে থাকেন। ফাউমি মোরগের ওজন ১.৫- ১.৮ কেজি হয়ে থাকে এবং ফাউমি মুরগির ওজন ১.২-১.৪ কেজি হয়ে থাকেন। মূলত ফাউমি মুরগি গড়ে বছরে ডিম উৎপাদন করে ১৬০-১৮০টি পর্যন্ত। প্রত্যেকটা ডিমের ওজন প্রায় ৪০-৫০ গ্রাম হয়ে থাকেন। 

সাধারণত ফাউমি মুরগি দেশি জাতের মুরগির তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী, যেমন দ্রুত চলাফেরা করতে পারে, ঠিক তেমনি খাবার সংগ্রহে অত্যন্ত পারদর্শী। দেশি মুরগির মতো ফাউমি মুরগি শক্তিশালী এবং এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও প্রচুর। এজন্যই বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মানুষেরা ফাউমি মুরগি পালনে ঝুঁকে পড়েছে।

ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি

ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z
মিশরের ফায়ুম প্রদেশ এর জন্যই এই মুরগির নামকরণ করা হয়েছে ফাউমি মুরগি। মিশরের দেশি জাতের খুবই জনপ্রিয় মুরগি হচ্ছে ফাউমি মুরগি। ফাউমি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি পাশাপাশি খুবই দ্রুত ফাউমি মুরগি বড় হয়। ফাউমি মুরগি যেমন ডিম ভালো দেয়, ঠিক তেমনি মাংস ভালো দেয়। এজন্য ডিম ও মাংসের জন্য ফাউমি মুরগি খুবই লাভজনক। 
বর্তমান সময়ে এই জন্যই বাংলাদেশে ফাউমি মুরগির চাহিদা পাশাপাশি জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক খামারীরাই রয়েছে যারা ফাউমি মুরগি পালন করে খুবই লাভবান হচ্ছেন। প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সাধারণত ফাউমি মুরগি হচ্ছে বিদেশি জাতের মুরগি। 

আপনি যদি ফাউমি মুরগি পালন করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফাউমি মুরগি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। মূলত আমাদের দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই এই ফাউমি মুরগি সম্পর্কে জানেন না। মূলত সেই কারণে আপনাদের উপকারার্থে আজকে এই আর্টিকেলে সুন্দরভাবে ফাউমি মুরগি সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত বলবো। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন নিচে ফাউমি মুরগির পালন পদ্ধতির সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো

ফাউমি মুরগির ঘর তৈরি

প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফাউমি মুরগি ভালোভাবে পালন করে লাভবান হতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আগে মুরগির জন্য একটি শান্ত নিরাপদ জায়গায় নির্বাচন করতে হবে। আর অবশ্যই যেন মুরগির জায়গাটা বড় হয় এবং ঠান্ডা বা শীতল হয় পাশাপাশি আলো, বাতাস, বায়ু চলাচল থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

প্রতি ফাউমি মুরগি জন্য ১.৫-২ জায়গা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। ফাউমি মুরগির মেঝে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মেঝেতে পলিথিন, বালি, কাঠের গুঁড়ো, ধানের তুষ ইত্যাদি ছিটিয়ে পরিবেশটা আরামদায়ক করে তৈরি করতে হবে। মুরগির ঘরে বায়ু চলাচল, আলো, বাতাস সব কিছু যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে সেদিক লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা পরিবেশ যদি খুব বেশি ঠান্ডা কিংবা খুব বেশি গরম হয়, সেক্ষেত্রে ফাউমি মুরগির স্বাস্থ্য অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 
এজন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে সবকিছুই নিশ্চিতকরণ করতে হবে। এছাড়াও মুরগির বাসস্থানে যেন কোন হিংস্র প্রাণী বা শিকারি প্রাণী যেমন শিয়াল, বিড়াল, ইঁদুর, বন বিড়াল ইত্যাদি প্রবেশ করতে না পারে এগুলো থেকে মুরগির ঘর সুরক্ষিত রাখতে হবে। সেজন্য ফাউমি মুরগির ঘর ঘরের চারিপাশ সুন্দরভাবে মেরামত করে তৈরি করতে হবে।

ফাউমি মুরগির খাদ্য ব্যবস্থাপনা

শুরুতে ০-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্রয়লার স্টার্টার/ছানা খাদ্য প্রদান করবেন। এরপর যখন ফাউমি মুরগি একটু বড় হবে ৫-১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত গ্রোয়ার খাদ্য পাশাপাশি চালের কুঁড়া, ভুট্টা, গম ইত্যাদি খাবার প্রদান করবেন। এরপর যখন ১৭ সপ্তাহে ফাউমি মুরগি ডিম দেওয়া শুরু করবে তখন লেয়ার খাদ্য প্রোটিন ১৬%-১৮% এবং ক্যালসিয়াম বেশি পাশাপাশি ভুট্টা, মাছের গুড়া, খোল, শামুক ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। ফাউমি মুরগির পানির পাত্র সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন পাশাপাশি পরিষ্কার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করবেন।

ফাউমি মুরগির স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ

ফাউমি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি। যেন মুরগির রোগ বালাই না হয়। ফাউমি মুরগিকে ৭, ২৮, ৬০,তম দিনে নিউক্যাসল (Ranikhet) টিকা প্রদান করতে হবে। এছাড়াও ১০-১৪ তম দিনে গাম্বোরা টিকা এবং ৬-৮ সপ্তাহে বসন্ত টিকা প্রদান করতে হবে। 

এছাড়াও ফাউমি মুরগিকে দুই থেকে তিন মাস অন্তর অন্তর পুনরায় নিউক্যাসল টিকা প্রদান করতে হবে। ফাউমি মুরগির খাবারের পাত্র সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন পাশাপাশি পানির পাত্র নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মুরগির মাঝে যে সকল মুরগি অসুস্থ সেই মুরগী গুলোকে আলাদা করে রাখবেন। এতে করে রোগ বালাই একজনের থেকে আরেকজনের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। 

এছাড়াও আপনারা নিয়মিত মুরগির ঘরে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করবেন। মাটির নিচে যেন মল জমে না থাকে সেদিকেও বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন। এছাড়াও ফাউমি মুরগির রোগ ও পরজীবীর হাত থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত গোসল করাবেন পাশাপাশি নিয়মিত মুরগির স্বাস্থ্য পরীক্ষা পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন কোন অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখলে খামখেয়ালি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

ফাউমি মুরগির প্রজনন ও ডিম উৎপাদন

সাধারণত ফাউমি মুরগির ৫-৬ মাস বয়স হলেই তারা প্রজননের উপযোগী হয়ে ওঠে। তখন একটি মোরগ ও মুরগির মিলনের মাধ্যমে তারা ডিম উৎপাদন করতে পারে। সাধারণত একটি মোরগ দিয়ে ১০-১২ টি মুরগি অনায়াসে পালন করা যায়। ফাউমি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ডিমের জন্য ইনকিউবেটর ব্যবস্থা করতে হয়। 
মূলত ইনকিউবেটরে ২১ দিনের মধ্যেই সুন্দরভাবে বাচ্চা ফুটে যায়। সাধারণত দেশি মুরগির মতো ফাউমি মুরগি ডিমের উপর বসে থাকতে চাই না। এজন্যই মূলত ডিম ফোটানোর ক্ষেত্রে ইনকিউবেটর সবচেয়ে ভালো। প্রিয় পাঠক প্রতিদিনের ডিম অবশ্যই প্রতিদিন সংগ্রহ করবেন। এতে করে ডিম পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ডিম সংরক্ষণ করা হয়ে গেলে সেটি পরিষ্কার করে ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখুন।

ফাউমি মুরগির খাদ্য সম্পূরক ও বাচ্চার পরিচর্যা

ফাউমি মুরগির বাচ্চাদের জন্য অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করতে হবে। যেমন গম বা ভুট্টা জাতীয় খাবার। ফাউমি মুরগির নতুন বাচ্চা যখন বাসায় নিয়ে আসবেন তখন অবশ্যই নতুন বাচ্চাদের জন্য আলাদা বাসস্থান তৈরি করবেন যেখানে তারা শান্তিপূর্ণ ও আরামদায়কভাবে থাকতে পারে। এছাড়াও বাচ্চাদের স্বাস্থ্য পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য আলাদা তাপমাত্রা এবং সুরক্ষার ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরী। তাই সেই ব্যবস্থা করবেন।

ফাউমি মুরগির লাভজনক দিক

সাধারণত ফাউমি মুরগি দ্রুত বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি তারা অল্প খাবারের টিকে থাকতে পারে। বর্তমান সময়ে বাজারে দেশি জাতের মুরগির বিকল্প হিসেবে ফাউমি মুরগি খুবই ভালো পাশাপাশি দেশি মুরগির তুলনায় ফাউমি মুরগির দাম খুব ভালোই পাওয়া যায়। এছাড়াও ফাউমি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই বেশি। রোগ বালাই কম হয়। এজন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সেরকম খরচ করতে হয় না। 

ফাউমি মুরগির থেকে একসাথে ডিম ও মাংস দুটোই পাওয়া যায় এবং এখান থেকে খুবই ভালো পরিমাণে লাভবান হওয়া যায়। বাজারে দেশি মুরগির বিকল্প হিসেবে খুবই জনপ্রিয় ফাউমি মুরগি। তবে সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি সকল নিয়ম মেনে পালন করতে হবে যথা সময়ে মুরগির টিকা প্রদান করতে হবে।

ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়?

প্রিয় পাঠক আপনি যদি একজন খামারি হয়ে থাকেন কিংবা হতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই জানা উচিত একটি ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়? মূলত ফাউমি মুরগি হচ্ছে একটি উন্নত জাতের মুরগি এই মুরগি পালন করে খুবই লাভবান হওয়া যায়। কেননা ফাউমি মুরগি যেমন স্বাদে সুস্বাদু, ঠিক তেমনি এই মুরগি একসাথে ভালো পরিমাণ ডিম মাংস দুটোই দেয়। সাধারণত ৪.৫- ৫ বয়স থেকে ফাউমি মুরগি ডিম দেওয়া শুরু করে, আনুমানিক প্রায় ২০ থেকে ২২ সপ্তাহ। 
তবে কিছু কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে ফাউমি মুরগি ডিম দিয়ে থাকেন যেমন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ও সুষম প্রোটিন খাবার ফাউমি মুরগি খেতে পেলে খুবই দ্রুততার সাথে ডিম দেওয়া শুরু করে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্ন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ, পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো, বাতাস, থাকলে ফাউমি মুরগির ডিম পাড়ার গতি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তবে অতিরিক্ত গরম কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ার সময় ফাউমি মুরগি কিছুটা দেরিতে ডিম দেই। এতে করে চিন্তার কিছু নেই। সাধারণত ফাউমি মুরগি বছরে গড়ে ১৬০-১৮০টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকেন।

ফাউমি মুরগির দাম কত?

সাধারণত ফাউমি মুরগির দাম সম্পর্কে বলা ঝামেলার পাশাপাশি একটি কঠিন বিষয়। কেননা ফাউমি মুরগির দাম একেক জায়গায় একেক রকম হতে পারে। মূলত দাম নির্ভর করে মুরগির বয়স, ছানা বা পূর্ণবয়স্ক মুরগি, বাজার পরিস্থিতি, বিক্রেতা ইত্যাদির উপর। তবে অন্যান্য মুরগির চাইতে ফাউমি মুরগির দাম তুলনামূলক একটু বেশি থাকে। কেননা এই মুরগিটি হচ্ছে বিদেশি জাতের একটি মুরগি। 

১-৫ দিনের বাচ্চার দাম আনুমানিক ৮০-১০০ টাকা কিংবা এর চেয়েও একটু বেশি হতে পারে। আবার ১৫-২০ দিনের মুরগির বাচ্চার দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত কিংবা এরও অধিক হয়ে থাকে এবং যে সকল ফাউমি মুরগি প্রাপ্তবয়স্ক সেগুলো ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা কিংবা এর চাইতেও বেশি হতে পারে।ফাউমি মুরগির দাম সব সময় নির্ভর করে ছানা, মুরগির বয়স, বিক্রেতা, পূর্ণবয়স্ক, বাজার পরিস্থিতি ইত্যাদির উপর।

ফাউমি মুরগির বাচ্চার দাম ২০২৫

সাধারণত বর্তমান সময়ে অনেক ফাউমি মুরগি পালন খামারিরা রয়েছেন, যারা ২০২৫ সালে ফাউমি মুরগির বাচ্চার দাম কত? সেটা জানেন না। আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চান, তাদের জন্যই মূলত এই আর্টিকেলটি লেখা। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনারা আপনাদের উত্তর পেয়ে যাবেন। 

২০২৫ সালের একদিনের বাচ্চার বর্তমান দাম আনুমানিক ৪৫-৫০ টাকা। তবে এর থেকে একটু কমও হতে পারে, আবার একটু বেশিও হতে পারে। কেননা বাজার পরিস্থিতি উপর বিবেচনা করে ছানার দাম নির্ধারণ করা হয়। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।

ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা

সাধারণত ফাউমি মুরগি হালকা ও ছোট জাতের হওয়ার কারণে এই মুরগি অন্যান্য মুরগি যেমন ব্রয়লার বা লেয়ার জাতের মুরগির তুলনায় অনেক কম খাবার গ্রহণ করে। তবে অন্যান্য মুরগির তুলনায় ফাউমি মুরগি ডিম উৎপাদনে অনেক সক্ষমতা রয়েছে। যদি ফাউমি মুরগিকে সঠিক খাবার তালিকা দেওয়া হয় এবং সঠিক সময়ে সঠিক খাবার দেওয়া হয়, 
তবে তারা দ্রুত বেড়ে উঠবে পাশাপাশি নিয়মিত অনেকদিন পর্যন্ত ভালো পরিমাণে ডিম দেবে। তাই প্রত্যেক খামারিদের ফাউমি মুরগির খাবার এর দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা পুরোটাই জেনে নেওয়া যাক। আপনাদের সুবিধার্থে ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা নিচে টেবিল আকারে উল্লেখ করা হলো।
ক্রমিক নং বয়স (দিন/সপ্তাহ) খাবারের ধরন পরিমাণ (প্রতি বাচ্চা/মুরগি প্রতি প্রতিদিন) খাবার তৈরীর উপকরণ
০১ ০–৭ দিন চিক স্টার্টার ফিড ১০–১৫ গ্রাম প্রোটিন ২০–২১%, ভুট্টা, সয়াবিন খৈল, ভাতের কুঁড়া, ভিটামিন মিক্স
০২ ৮–১৪ দিন চিক স্টার্টার ১৫–২৫ গ্রাম শস্য + সামান্য সবজি কুচি
০৩ ১৫–২৮ দিন চিক স্টার্টার ২৫–৩০ গ্রাম গম/ভুট্টা ভাঙা, ভাতের কুঁড়া, খেসারি ভুষি
০৪ ৫–৮ সপ্তাহ গ্রোয়ার ফিড ৩০–৪৫ গ্রাম প্রোটিন ১৬–১৮%, শস্য, সয়াবিন খৈল, ডি-কালসিয়াম ফসফেট, শাকসবজি
০৫ ৯–১২ সপ্তাহ গ্রোয়ার ফিড ৪৫–৬০ গ্রাম শাকপাতা, কচি ঘাস, ভাতের কুঁড়া, শামুক/ঝিনুকের গুঁড়া
০৬ ১৩–১৬ সপ্তাহ গ্রোয়ার ফিড ৬০–৭০ গ্রাম শক্তি বাড়ানোর জন্য ভুট্টা বেশি দিন
০৭ ১৭ সপ্তাহ+ (ডিম দেওয়া শুরু) লেয়ার ফিড ৮০–১০০ গ্রাম প্রোটিন ১৬–১৭%, ক্যালসিয়াম ৩.৫–৪%, ভুট্টা, সয়াবিন খৈল, গম, খনিজ (চুনা/শামুকের গুঁড়া)
০৮ ডিম দেওয়ার সময় লেয়ার ফিড ৯০–১১০ গ্রাম ভিটামিন + মিনারেল মিক্স, পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, পরিষ্কার পানি

অতিরিক্ত খাবার তালিকা

  • শাকপাতা, লাউ/কুমড়া/কচুপাতা কুচি, ধানের খোসা, চালের ভুসি
  • শামুক, ঝিনুক, ছোট মাছ শুকনো করে গুঁড়া দিলে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন পূরণ হয়
  • পরিষ্কার পানি সবসময় রাখতে হবে।

খাবার প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা।

  • নষ্ট/পচা খাবার কখনো দিবেন না।
  • সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার জায়গায় খাবার রাখবেন।
  • নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন ও কৃমিনাশক প্রয়োগ করলে খাবার হজম ও বাড়ার গতি ভালো হয়।

ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা

সাধারণত অন্যান্য দেশি মুরগির চাইতে ফাউমি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় খুবই শক্তিশালী ফাউমি মুরগি। তবে বাড়িতে কিংবা খামারে মুরগি পালন করলে নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। প্রিয় পাঠক আপনারা যদি মুরগিকে নিয়মিত সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন দেন, সেক্ষেত্রে ফাউমি মুরগির হঠাৎ মৃত্যু, 
যে কোন রোগ বালাই ছড়ানো এবং ডিম উৎপাদন কমে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। প্রিয় পাঠক তাই জন্য প্রত্যেক খামারি ভাইদের উচিত সঠিক সময়ে সঠিক ভ্যাকসিন ফাউমি মুরগিকে প্রদান করা। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন কি কি ভ্যাকসিন আপনারা ফাউমি মুরগিকে দিতে পারেন আপনাদের সুবিধার্থে সেগুলো নিচে টেবিল আকারে উল্লেখ করা হলো।
ক্রমিক নং বয়স (দিন/সপ্তাহ) ভ্যাকসিন নাম প্রয়োগ পদ্ধতি উদ্দেশ্য
০১ ১ দিন মারেকস ভ্যাকসিন ইনজেকশন (ঘাড়ের পেছনে) মারেকস রোগ প্রতিরোধ
০২ ৪–৫ দিন নিউক্যাসল (ND-B1) চোখ/নাক/পানি রানিখেত রোগ প্রতিরোধ
০৩ ৭ দিন গাম্বোরো (IBD) – ১ম ডোজ পানি গাম্বোরো রোগ প্রতিরোধ
০৪ ১৪ দিন গাম্বোরো (IBD) – ২য় ডোজ পানি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো
০৫ ১৮–২০ দিন নিউক্যাসল (ND-LaSota) পানি রানিখেত রোগ প্রতিরোধ
০৬ ২১ দিন গাম্বোরো (IBD) – ৩য় ডোজ পানি শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা
০৭ ২৫–৩০ দিন পক্স ভ্যাকসিন পাখার ডগায় সুচ ফোঁটা ফাউল পক্স প্রতিরোধ
০৮ ৩০–৩৫ দিন রানি খেত (ND R2B) ইনজেকশন দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ
০৯ ৬–৮ সপ্তাহ ইনফেকশাস ব্রঙ্কাইটিস (IB) পানি/চোখ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ প্রতিরোধ
১০ ৮–১০ সপ্তাহ ফাউল কলেরা ইনজেকশন কলেরা প্রতিরোধ
১১ ১২ সপ্তাহ রানি খেত (ND Lasota / R2B বুস্টার) পানি/ইনজেকশন বুস্টার ডোজ
১২ ১৬ সপ্তাহ (ডিম দেওয়ার আগে ই. কোলাই / লেয়ার ভ্যাকসিন (Combined) ইনজেকশন ডিম উৎপাদন সময়ে রোগ প্রতিরোধ
১৩ এরপর প্রতি ২–৩ মাস অন্তর ND ও IB বুস্টার পানি/ইনজেকশন নিয়মিত প্রতিরোধ শক্তি বজায় রাখা

ভ্যাকসিন দেওয়ার পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা

  • ভ্যাকসিন সবসময় বরফসহ কুলারে ২–৮°সে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।
  • ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে ও পরে অন্তত ১ ঘণ্টা কোনো ওষুধ/ভিটামিন মেশানো পানি দেওয়া যাবে না।
  • পরিষ্কার, ঠান্ডা (কিন্তু বরফ ছাড়া) পানিতে ভ্যাকসিন মিশিয়ে দিতে হবে।
  • খাওয়ার/পানির লাইনে কোনো জীবাণুনাশক যেন না থাকে।

ফাউমি মুরগির ডিমের দাম ২০২৫

অনেক ব্যক্তিবর্গ রয়েছে যারা ফাউমি মুরগির ডিমের দাম সম্পর্কে জানতে চাই? সময় স্বল্পতার জন্য বলে ওঠা হয় না। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন ফাউমি মুরগির ডিমের দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে যেমন ঢাকা, রাজশাহীতে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪৫-১৫৫ টাকা। বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ডিমের দাম হালকা কমবেশি হতে পারে। 
এছাড়াও সরকার নির্ধারিত কিছু সুলভ বিক্রয় স্থলে রমাদান মাসে প্রতি ডজন ডিম বিক্রয় করা হয় ১১৪ টাকা। ফার্মগেটে প্রতি পিস ডিমের দাম ১০.৫৮ টাকা এবং রিটেইলে ১১.৮৭ টাকা ও হোলসেলে ১১.০১ টাকা। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ডিমের দাম তারা যদি পরিবর্তন করে তাহলে কম বেশি হবে। বর্তমান সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ডিমের দাম আপনাদের সামনে উল্লেখ করেছি।

ফাউমি মুরগির বাচ্চা চেনার উপায়

সাধারণত ফাউমি মুরগির বাচ্চা চেনার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো দেখে আপনারা খুব সহজেই ফাউমি মুরগির বাচ্চা চিনতে পারবেন। বাচ্চা জন্মের পরে আপনারা বাচ্চার শরীরে ধূসর ডোরাকাটা লোম দেখতে পাবেন। এছাড়াও মাথায় হালকা সাদা দাগ থাকবে। মূলত দেশী মুরগির বাচ্চাদের মতো সাদা, কালো, সোনালী নয়, বরং ডোরাকাটা হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো অন্যান্য হাইব্রিড দেশি বাচ্চাদের তুলনায় লম্বাটে ও পাতলা আকৃতির হয়ে থাকে ফাউমি মুরগির বাচ্চা। 

এছাড়াও ফাউমি মুরগির বাচ্চার পা তুলনামূলক অনেক লম্বাটে থাকে। তাই দেখতে কিছুটা সরু মনে হয়। এছাড়াও ফাউমি মুরগির বাচ্চা তুলনামূলক খুবই দ্রুতগামী ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশি মুরগির বাচ্চার তুলনায় ফাউমি মুরগি যদি ভয় পায়, তাহলে সেখান থেকে খুবই দ্রুত নিজেকে সে জায়গা থেকে সরিয়ে নেই। এছাড়াও খুবই দ্রুত ফাউমি মুরগির বাচ্চার শরীরে লোম গজায় এবং পুরো শরীর লোমে আবৃত হয়ে যায়। 

 অন্যান্য জাতের মুরগির বাচ্চার চেয়ে ফাউমি মুরগির বাচ্চা খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফাউমি মুরগির বাচ্চা বড় হওয়ার পর যেগুলো মোরগ সেগুলো মূলত সাদা-কালো মিশ্রিত ডোরাকাটা ডোরাকাটা পালক হয়ে থাকে এবং মুরগি হলে বাদামি ধূসর রংয়ের পালক এবং সাথে হালকা ডোরাকাটা দাগ দেখা যায়। তবে বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক বিক্রেতা ফাউমি মুরগির বাচ্চা বলে সোনালি মুরগির বাচ্চা বিক্রয় করে থাকেন। 
এজন্য প্রিয় পাঠক আপনারা ধোকার মধ্যে না পড়ে শুধুমাত্র নাম শুনে নয়, বরং উপরের বৈশিষ্ট্য গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করে নিশ্চিত হয়ে তারপরে আপনারা ফাউমি মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে বাসায় নিয়ে আসুন। আরো ভালো হয় যদি আপনারা কোন বিশ্বস্ত খামার অথবা হ্যাচারি থেকে সবচেয়ে ভালো মানের ফাউমি মুরগি কিনে নিয়ে আসেন তাহলে সবচাইতে বেশি ভালো।

ফাউমি মুরগি কত কেজি ওজন হয়?

সাধারণত ফাউমি মুরগি তুলনামূলক আকারে ছোট জাতের হয়ে থাকে। তবে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি এবং ফাউমি মুরগি অনেক শক্তিশালী। ফাউমি মুরগি মাংস উৎপাদনে বেশ ভালো। তেমনি ডিম উৎপাদনে অনেক দক্ষ। ফাউমি মুরগি পালন করে ডিম ও মাংস উৎপাদন বেশ ভালো হয় এবং খামারিরাও খুবই ভালো লাভবান হতে পারে। গড় হিসেবে ফউমি মুরগির ওজন আনুমানিক ফাউমি মোরগ প্রায় ১.৫-২.০কেজি মাংস উৎপাদন করতে পারে এবং ফাউমি মুরগি প্রায় ১.০- ১.৫কেজি পর্যন্ত মাংস উৎপাদন করে থাকে। 

এছাড়াও ফাউমি মুরগির বয়স ভেদে আনুমানিক ওজন ২ মাসের বাচ্চার ওজন প্রায় ৪৫০-৬০০ গ্রাম। ৩ মাসের বাচ্চার ওজন ৭০০-৯০০ গ্রাম। ৪-৫ মাস বয়সে যখন ফাউমি মুরগির ডিম দেওয়া শুরু করে তখন তাদের ওজন ১.০-১ .২ কেজি পর্যন্ত হয়। আর ৬ মাসের বেশি বয়সের মোরগের ওজন প্রায় ১.৫-২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকেন।

ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়?

ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়?
সাধারণত বর্তমান সময়ে ডিম উৎপাদনে খুবই জনপ্রিয় ফাউমি মুরগি। মূলত ফাউমি মুরগি আকারে ছোট হলেও এদের ডিম উৎপাদনের সক্ষমতা অনেক বেশি। এই মুরগি বছরে গড়ে প্রায় ২০০-২২০ টি পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। ফাউমি মুরগির যদি সঠিকভাবে সঠিক খাবার দেওয়া হয়, সঠিক পরিচর্যা করা হয় ও পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস পেলে অনেক সময় তারা ২৫০ টা পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। 
তবে ডিম একটু ছোট সাইজের হয় প্রায় ৪৫-৫০ গ্রাম এর মধ্যে। তবে দেশি মুরগির মতোই ফাউমি মুরগির ডিমের স্বাদ অতুলনীয়। তাইতো দেশি মুরগির বিকল্প হিসেবে মানুষ বেছে নিয়েছে ফাউমি মুরগির। বর্তমান সময়ে ফাউমি মুরগি দেশি মুরগির বিকল্প হিসেবে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করছে।

লেখকের ইতি কথাঃ ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z

সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি পড়ার সাথে সাথে ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে আরো ভালোভাবে ধারণা পেতে আপনার নিকটস্থ পশু অধিদপ্তর বা পশু বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নিলে অবশ্যই আপনি ফাউমি মুরগি পালন করে খুব অল্প সময়েই অধিক লাভবান হতে পারবেন। 

ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় গুলো সম্পূর্ণ জানার পরে সোনালি মুরগি পালন করে আপনি কতটুকু লাভবান হবেন সেটা নিতান্তই আপনার নিরলস পরিশ্রম ও ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় গুলোর উপর নির্ভর করছে। এছাড়াও ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পেতে অথবা কোন সমস্যায় পড়লে অবশ্যই একজন ভালো পশু চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। তাহলে খুব অল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে পারবেন। আর এভাবেই আপনি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের তথ্য বহুল ও কার্যকরী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন। 

যেন তারা ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি A to Z এই বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url