রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ?
আপনি কি ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী কুরআনিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান? একমাত্র
মহান আল্লাহ তায়ালার সাহায্যের মাধ্যমে আপনার জীবনের সব ধরনের বালা-মুসিবত,
বিপদ-আপদ ও জিন-জাদু, হাসাদ, ওয়াসওয়াসা, বদনজর মুক্তি থেকে পাবেন। তাহলে আপনার
আর চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে
রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ? সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত
তথ্যবহুল ও প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের জন্য
রুকইয়াহ? এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে জানাবো,
যেগুলিকে জেনে আপনি খুব সহজেই একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার সাহায্যের মাধ্যমে
আপনার জীবনের সব ধরনের বালা-মুসিবত, বিপদ-আপদ ও জিন-জাদু, হাসাদ, ওয়াসওয়াসা,
বদনজর থেকে মুক্তি পাবেন। সাথে সাথে পরকালীন জীবনের চিরস্থায়ী সুখ ও মুক্তির
জন্য উত্তম পাথেয় সঞ্চয় করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। রুকইয়াহ
কি? - কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ? এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন।
ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভূমিকা
সুন্দর এই পৃথিবীতে বসবাসরত প্রতিটি মানুষই তাদের জীবনের সব ধরনের বালা-মুসিবত,
বিপদ-আপদ ও জিন-জাদু, হাসাদ, ওয়াসওয়াসা, বদনজর এই ধরনের রোগ থেকে বেঁচে থাকতে
চাই। কিন্তু আমাদের সমাজে কিছু নিকৃষ্ট লোক রয়েছে যারা মানুষের ভালোটা সহ্য করতে
পারে না এই জন্য তারা হিংসার বর্ষবর্তি হয়ে অন্যের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার
চেষ্টা করে থাকে।এই ক্ষতিগুলো তারা বিভিন্ন ভাবে করে থাকে।
বদ নজর এর মাধ্যমে অথবা কারো প্রতি হিংসার বর্ষবর্তি হয়ে বিভিন্নভাবে শিরকি ও
কুফরির আশ্রয় নিয়ে যাদুটোনা করে থাকে এবং এর মাধ্যমে জিনের বদ নজরের শিকার হয়ে
থাকে। আর এভাবেই তারা মানুষের বিভিন্নভাবে ক্ষতি সাধন করে থাকে। কেননা বদ নজর
যাদু টোনা এগুলো সব কিছুই সত্য কেননা এগুলোর প্রমাণ পবিত্র কুরআন এবং হাদীছে
রয়েছে। এক্ষেত্রে এই সমস্ত ক্ষতি থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য
চেয়ে রুকইয়া শারঈয়াহ করলে তিনি সম্পূর্ণ সেফা বা সুস্থতা দান করবেন
ইনশাআল্লাহ।
এমনকি যেকোনো ধরনের বালা-মুসিবত বিপদ-আপদ এবং উল্লেখিত বিষয়গুলোতে আক্রান্ত হলে
এই কুরানিক চিকিৎসার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি
অবশ্যই সাহায্য করবেন এবং পূর্ণ সুস্থতা দান করবেন। কিন্তু অনেকেই এ বিষয়ে সঠিক
তথ্যগুলো না জানার বিভিন্ন ধরনের তান্ত্রিক বা কবিরাজদের কাছে সহায়তা চাই যা
সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তাই আপনি যদি আপনার নিজের আমলগুলোকে বিনষ্ট করতে না চান তবে অবশ্যই আপনি একমাত্র
মহান আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চেয়ে রুকইয়া শারঈয়াহর মাধ্যমে পরিপূর্ণ সুস্থ
হতে পারবেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন, তাহলে
রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ? সেই সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে
জানতে পারবেন।
এছাড়াও রুকইয়াহ কি? শরীয়াতের পরিভাষায় রুকইয়াহ, রুকইয়াহ এর ধরন/প্রকারভেদ,
রুকইয়াহ করার কিছু বৈধ দোয়া ও আয়াত, কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ? রুকইয়াহ
কিভাবে করবেন? রুকইয়াহতে ব্যবহৃত বিভিন্ন পরিভাষা এই বিষয়গুলো সম্পর্কেও
বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের জন্য
রুকইয়াহ? এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য
খুবই কার্যকরী।
রুকইয়াহ কি?
সাধারণত রুকইয়াহ আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ঝাড়ফুঁক, তাবিজ, কবচ, মন্ত্র, জাদু,
সম্মোহন প্রভুতি। তবে সাধারণত রুকইয়াহ শব্দটি দ্বারা ব্যবহারিক অর্থে ঝাড়ফুঁক
বোঝানো হয়েছে। আবার রুকইয়াহ আরবিতে রুকইয়াহ শব্দটি মন্ত্র বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
সাধারণত বিশেষ কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট নিয়মে কিছু শব্দ বা বাক্য
আবৃত্তির মাধ্যমে ফুঁ দেওয়া হয়, ফলে বিশেষ কিছু প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়, এটাই
হচ্ছে মূলত মন্ত্র।
রুকইয়াহ আভিধানিক অর্থে যেমন ঝাড়ফুঁক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, ঠিক তেমনি
অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কুফরি যাদুবিদ্যার মন্ত্র পাঠ। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়
রুকইয়াহ শব্দটি অন্যভাবে ব্যবহৃত হয়। কোন ব্যক্তি যখন মহান আল্লাহ তায়ালার
কালামের আয়াত, আল্লাহর গুণবাচক নাম, হাদীছে বর্ণিত রাসুল (ছাঃ) এর দুআ এবং কুফরী
ও শিরক মিশ্রিত নয় এমন বৈধ বাক্যগুলি,
যখন নিজের বা অন্যের সুস্থতার জন্য কিংবা কোন বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেতে মহান
আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে তেলাওয়াত করা হয় সেটাকেই মূলত
রুকইয়াহ বলা হয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে মহান আল্লাহ তায়ালার নাযিলকৃত কুরআনের
আয়াত, আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহ ও আমাদের রাসূল (ছাঃ) এর শেখানো বিভিন্ন
ধরনের দোয়া,
জিকির আজগার এর মাধ্যমে যে চিকিৎসা বা ঝাড়ফুঁক করা হয় সেটাই মূলত হচ্ছে
রুকইয়াহ শারঈয়াহ। আরেকটু সহজ ভাষায় বলতে গেলে কুরআনের আয়াত ও হাদীছে বর্ণিত
দোআ এবং আল্লাহ তাআলার জিকির দ্বারা বদনজর মানুষের পক্ষ থেকে হতে পারে, আবার
জ্বিনের পক্ষ থেকেও হতে পারে, জ্বিন, জাদু, বদনজর, ওয়াসওয়াসা, হাসাদ ইত্যাদি
থেকে মুক্তি পাওয়ার এক বৈধ ইসলামী চিকিৎসা পদ্ধতি।
শরীয়াতের পরিভাষায় রুকইয়াহ
ইসলামী পরিভাষায় কোন ব্যক্তি যখন কুরআনের আয়াত, হাদীছে বর্ণিত দোআ কিংবা
আল্লাহর কোন নাম, বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে যেমন নিজের সুস্থতা বা অন্যের সুস্থতার
জন্য কিংবা কোন বিপদ আপদ থেকে মুক্তির জন্য একমাত্র মহান আল্লাহ তাআলার সাহায্য
চেয়ে পাঠ করাকে রুকইয়াহ বলা হয়।
অর্থাৎ কুরআনের আয়াত এবং হাদীছে বর্ণিত ছহীহ দোআ অথবা জায়েজ বাক্য দ্বারা
ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করাকেই রুকইয়াহ শারঈয়াহ
বলে। তবে অবশ্যই একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে।
পাঠকৃত শব্দ বাক্য অবশ্যই স্পষ্ট হতে হবে। শিরক- কুফরি মিশ্রিত বাক্য থাকা যাবে
না। যাবতীয় অসুস্থতা এবং সবধরনের বিপদেও রুকইয়াহ করা যায়।
রুকইয়াহ এর ধরন/প্রকারভেদ
সাধারণত রুকইয়াহ এর ধরন দুই প্রকারের হয়ে থাকে। প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে
নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।
রুকইয়াহ শারঈয়াহ বা বৈধ ঝাড়ফুঁক
ইসলামী পরিভাষায় কোন ব্যক্তি যখন কুরআনের আয়াত, হাদীছে বর্ণিত দোআ কিংবা
আল্লাহর কোন নাম, বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে যেমন নিজের সুস্থতা বা অন্যের সুস্থতার
জন্য কিংবা কোন বিপদ আপদ থেকে মুক্তির জন্য একমাত্র মহান আল্লাহ তাআলার সাহায্য
চেয়ে পাঠ করাকে রুকইয়াহ বলা হয়। অর্থাৎ কুরআনের আয়াত এবং হাদীছে বর্ণিত ছহীহ
দোআ অথবা জায়েজ বাক্য দ্বারা ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নিকট সাহায্য
প্রার্থনা করাকেই রুকইয়াহ শারঈয়াহ বলে।
সাধারণত রুকইয়াহ শারঈয়াহ বৈধ ঝাড়ফুঁক কুরআন সুন্নাহর আলোকে ছহীহ পদ্ধতিতে এই
চিকিৎসা করা হয়। রুকইয়াহ শারঈয়াহ বা বৈধ ঝাড়ফুঁকে মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে
অন্য কাউকে তুলনা করে কোনরকম শিরক বা কুফরী বা যাদুবিদ্যা এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে
থাকে না। আমাদের রাসূল (ছাঃ) নিজেও কুরআনের আয়াত, মহান আল্লাহ তাআলার গুণবাচক
নাম, ছহীহ দোয়া দিয়ে নিজের জন্য রুকইয়াহ চিকিৎসা করতেন পাশাপাশি অন্যদেরকেও
রুকইয়াহ শারঈয়াহ বা বৈধ ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়েছেন। প্রিয় পাঠক
আপনারা চাইলে ইসলামী শরীয়তের বিধান মেনে রুকইয়াহ শারঈয়াহ বা বৈধ ঝাড়ফুঁক
পদ্ধতিতে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।
রুকইয়াহ শিরকীয়াহ বা অবৈধ ঝাড়ফুঁক
কুরআন বাদ দিয়ে সাধারণত বিশেষ কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট নিয়মে কিছু
শিরক বা কুফরী মিশ্রিত বাক্য বা শব্দ যেমন মহান আল্লাহর কালাম উল্টাপাল্টা করে
লেখা, উল্টাপাল্টা করে পড়া, মহান আল্লাহ তায়ালার কালামের অবমাননা করা, মহান
আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কাউকে তুলনা বা শিরক করা ইত্যাদি উচ্চারণের মাধ্যমে
ফুঁ দিয়ে বিশেষ কিছু প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করানো হয় এটা হচ্ছে মন্ত্র, যাদু,
তাবিজ, কবজ।
এক কথায় বোঝা যায় না, অজানা ভাষায় ঝাড়ফুঁক করানোই হচ্ছে রুকইয়াহ শিরকীয়াহ বা
অবৈধ ঝাড়ফুঁক। মূলত যারা রুকইয়াহ শিরকীয়াহ বা অবৈধ ঝাড়ফুঁক করে তাদেরকে
বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করা হয় যেমন ওঝা, তান্ত্রিক, কবিরাজ ইত্যাদি। এরা মূলত
জ্বিন ও শয়তানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে রুকইয়াহ শিরকীয়াহ বা অবৈধ ঝাড়ফুঁক করে
থাকে। শিরক বা কুফরি উপাদান রুকইয়াহ শিরকীয়াহ বা অবৈধ ঝাড়ফুঁকে বিদ্যমান
রয়েছে।
যা আমাদের ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। প্রিয় পাঠক রুকইয়াহ শিরকীয়াহ
বা অবৈধ ঝাড়ফুঁক গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা রুকইয়াহ শিরকীয়াহ বা অবৈধ
ঝাড়ফুঁক যারা করায় এবং যে করে তারা কখনোই জান্নাতে যেতে পারবে না। মহান আল্লাহ
তায়ালা তাদের উপর তার লানত বর্ষিত করেছেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাদের উপর লানত
বর্ষিত করেছেন। সৃষ্টি কুলের উপর থেকেও তাদের ওপর লানত বর্ষিত রয়েছে।
রুকইয়াহ করার কিছু বৈধ দোয়া ও আয়াত
শিফার জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সূরা হচ্ছে সূরা ফাতিহা। সম্মানিত পাঠক আপনারা যদি
প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যার সালাতের পর সূরা ফাতিহা সাতবার পড়ে সারা শরীরে হাত
বুলান, তাহলে অনেক উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ। সকল অনিষ্ট কারীদের হাত থেকে নিজেকে
রক্ষা এবং বরকতের জন্য সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত অর্থাৎ আয়তুল কুরসি পড়তে
পারেন।
সকল অনিষ্টকারীদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক মুমিন
ব্যক্তিদের সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস, প্রতিদিন নিয়মিত পড়া উচিত।
আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম ঘুমোতে যাওয়ার আগে সূরা ইখলাস,
ফালাক, নাস পড়ে শরীর মাসেহ করতেন। যেমনটা ছহীহ হাদীছে বর্ণিত দোয়াতে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন
اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا
شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا
অর্থঃ হে মানুষের রব! রোগ দূর করে দিন, আপনি হলেন শেফা দাতা, আপনার শেফা ছাড়া আর
কোন শেফা নেই, এমন শেফা দিন যাতে কোন অসুখ অবশিষ্ট থাকবে না।
রুকইয়াহ করার কমন আয়াতসমূহ
সবধরণের রুকইয়ার ক্ষেত্রেই এই আয়াতগুলো তিলাওয়াত করা যায়। এগুলোকে সাধারণ রুকইয়ার
আয়াত, কমন রুকইয়ার আয়াত, প্রসিদ্ধ আয়াত ইত্যাদি বলা হয়। যে জন্য তিলাওয়াত করবে,
প্রথমে মনেমনে সে ব্যাপারে নিয়ত স্থির করে নিবে। এরপর তিলাওয়াত শুরু করবে।
রুকইয়ার আয়াতগুলো তিলাওয়াতের আগে অথবা পরে কিছু দোয়ার মাধ্যমেও রুকইয়া করা উচিত।
এর অনেক উপকারিতা আছে। তাই সবশেষে রুকইয়ার উপযোগী কিছু দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে।
- سُوْرَةُ الفَاتِحَة
- بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
- اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱﴾ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ﴿۲﴾ مٰلِكِ یَوْمِ الدِّیْنِ ﴿۳﴾ اِیَّاكَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاكَ نَسْتَعِیْنُ ﴿۴﴾ اِهْدِ نَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ﴿۵﴾ صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ۬ۙ غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْ وَلَا الضَّآ لِّیْنَ ﴿۷﴾
- سُوْرَةُ البَقَرَة
- بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
- الٓـمّٓ ﴿۱﴾ ذٰلِكَ الْكِتٰبُ لَا رَیْبَ ۚۖۛ فِیْهِ ۚۛ هُدًی لِّلْمُتَّقِیْنَ ﴿۲﴾ الَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِالْغَیْبِ وَیُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ ﴿۳﴾ وَالَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ ۚوَ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ ﴿۴﴾ اُولٰٓئِكَ عَلٰی هُدًی مِّنْ رَّبِّهِمْ ٭ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ﴿۵﴾
- وَاتَّبَعُوْا مَا تَتْلُوا الشَّیٰطِیْنُ عَلٰی مُلْكِ سُلَیْمٰنَ ۚ وَمَا کَفَرَ سُلَیْمٰنُ وَلٰكِنَّ الشَّیٰطِیْنَ کَفَرُوْا یُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ٭ وَمَاۤ اُنْزِلَ عَلَی الْمَلَکَیْنِ بِبَابِلَ هَارُوْتَ وَمَارُوْتَ ؕ وَمَا یُعَلِّمٰنِ مِنْ اَحَدٍ حَتّٰی یَقُوْلَاۤ اِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَۃٌ فَلَا تَكْفُرْ ؕ فَیَتَعَلَّمُوْنَ مِنْهُمَا مَا یُفَرِّقُوْنَ بِہٖ بَیْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِہٖ ؕ وَمَا هُمْ بِضَآرِّیْنَ بِہٖ مِنْ اَحَدٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰه ؕ وَیَتَعَلَّمُوْنَ مَا یَضُرُّهُمْ وَلَا یَنْفَعُهُمْ ؕ وَلَقَدْ عَلِمُوْا لَمَنِ اشْتَرٰىهُ مَا لَہٗ فِی الْاٰخِرَۃِ مِنْ خَلَاقٍ ۟ؕ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِہٖۤ اَنْفُسَهُمْ ؕ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۰۲﴾
- وَ اِلٰـهُكُمْ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚلَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۶۳﴾ اِنَّ فِیْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّیْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْكِ الَّتِیْ تَجْرِیْ فِی. الْبَحْرِ بِمَا یَنْفَعُ النَّاسَ وَمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ مِنَ السَّمَآءِ مِنْ مَّآءٍ فَاَحْیَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِیْهَا مِنْ كُلِّ دَآبَّةٍ ۪ وَّتَصْرِیْفِ الرِّیٰحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَیْنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ ﴿۱۶۴﴾
- اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚاَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ۚ لَا تَاْخُذُہٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَہٗۤ اِلَّا بِاِذْنِہٖ ؕ یَعْلَمُ مَا بَیْن اَیْدِیْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۚوَلَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِہٖۤ اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚوَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚوَلَا یَـُٔوْدُہٗ حِفْظُهُمَا ۚوَهُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۲۵۵﴾
- اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْهِ مِنْ رَّبِّہٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَمَلٰٓئِکَتِہٖ وَكُتُبِہٖ وَرُسُلِہٖ ۟ لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِہٖ ۟ وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَ اَطَعْنَا ٭ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَ اِلَیْكَ الْمَصِیْرُ ﴿۲۸۵﴾ لَا یُکَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ؕ لَهَا مَا کَسَبَتْ وَعَلَیْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚرَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا کَمَا حَمَلْتَہٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚرَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِہٖ ۚوَاعْفُ عَنَّا ٝ وَاغْفِرْ لَنَا ٝ وَارْحَمْنَا ٝ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۲۸۶﴾
- سُوْرَةُ آل عِمرَان
- شَهِدَ اللّٰهُ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۙوَالْمَلٰٓئِکَۃُ وَ اُولُوا الْعِلْمِ قَآئِمًۢا بِالْقِسْطِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ ﴿۱۸﴾ اِنَّ الدِّیْنَ عِنْدَ اللّٰهِ الْاِسْلَامُ ۟ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْیًۢا بَیْنَهُمْ ؕ وَمَنْ یَّكْفُرْ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ فَاِنَّ اللّٰهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ ﴿۱۹﴾
- سُوْرَةُ الاٴعرَاف
- اِنَّ رَبَّكُمُ اللّٰهُ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِیْ سِتَّةِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ ۟ یُغْشِی الَّیْلَ النَّهَارَ یَطْلُبُہٗ حَثِیْثًا ۙوَّ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّرٰتٍۭ بِاَمْرِہٖ ؕ اَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَ الْاَمْرُ ؕ تَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۵۴﴾ اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْیَۃً ؕ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الْمُعْتَدِیْنَ ﴿۵۵﴾ وَ لَا تُفْسِدُوْا فِی الْاَرْضِ بَعْدَ اِصْلَاحِهَا وَادْعُوْهُ خَوْفًا وَّطَمَعًا ؕ اِنَّ رَحْمَتَ اللّٰهِ قَرِیْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۵۶﴾
- وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاكَ ۚفَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْن﴿۱۱۷﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۸﴾ فَغُلِبُوْا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَةُ سٰجِدِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۱﴾ رَبِّ مُوْسٰی وَهٰرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾
- سُوْرَةُ یُونس
- فَلَمَّاۤ اَلْقَوْا قَالَ مُوْسٰی مَا جِئْتُمْ بِهِ ۙالسِّحْرُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَیُبْطِلُہٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۸۱﴾ وَیُحِقُّ اللّٰهُ الْحَقَّ بِکَلِمٰتِہٖ وَلَوْ کَرِهَ الْمُجْرِمُوْنَ ﴿۸۲﴾
- سُوْرَةُ طٰه
- وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾
- سُوْرَةُ المؤمنون
- اَفَحَسِبْتُمْ اَنَّمَا خَلَقْنٰكُمْ عَبَثًا وَّ اَنَّكُمْ اِلَیْنَا لَا تُرْجَعُوْنَ ﴿۱۱۵﴾ فَتَعٰلَی اللّٰهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ ۚلَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚرَبُّ الْعَرْشِ الْکَرِیْمِ ﴿۱۱۶﴾ وَمَنْ یَّدْعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـہًا اٰخَرَ ۙلَا بُرْهَانَ لَہٗ بِہٖ ۙفَاِنَّمَا حِسَابُہٗ عِنْدَ رَبِّہٖ ؕ اِنَّہٗ لَا یُفْلِحُ الْکٰفِرُوْنَ ﴿۱۱۷﴾ وَ قُلْ رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَ اَنْتَ خَیْرُ الرّٰحِمِیْنَ ﴿۱۱۸﴾٪
- سُوْرَةُ الصَّافات
- بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
- وَالصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ﴿۱﴾ فَالزّٰجِرٰتِ زَجْرًا ﴿۲﴾ فَالتّٰلِیٰتِ ذِكْرًا ﴿۳﴾ اِنَّ اِلٰـهَكُمْ لَوَاحِدٌ ﴿۴﴾ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا وَ رَبُّ الْمَشَارِقِ ﴿۵﴾ اِنَّا زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِزِیْنَۃِۣ الْکَوَاكِبِ ﴿۶﴾ وَ حِفْظًا مِّنْ كُلِّ شَیْطٰنٍ مَّارِدٍ ﴿۷﴾ لَا یَسَّمَّعُوْنَ اِلَی الْمَلَاِ الْاَعْلٰی وَ یُقْذَفُوْنَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ﴿۸﴾ دُحُوْرًا وَّ لَهُمْ عَذَابٌ وَّاصِبٌ ﴿۹﴾ اِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَاَتْبَعَہٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ ﴿۱۰﴾
- سُوْرَةُ الاٴحقاف
- وَ اِذْ صَرَفْنَاۤ اِلَیْكَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ یَسْتَمِعُوْنَ الْقُرْاٰنَ ۚفَلَمَّا حَضَرُوْهُ قَالُوْۤا اَنْصِتُوْا ۚفَلَمَّا قُضِیَ وَلَّوْا اِلٰی قَوْمِهِمْ مُّنْذِرِیْنَ ﴿۲۹﴾ قَالُوْا یٰقَوْمَنَاۤ اِنَّا سَمِعْنَا كِتٰبًا اُنْزِلَ مِنْۢ بَعْدِ مُوْسٰی مُصَدِّقًا لِّمَا بَیْنَ یَدَیْهِ یَہْدِیْۤ اِلَی الْحَقِّ وَ اِلٰی طَرِیْقٍ مُّسْتَقِیْمٍ ﴿۳۰﴾ یٰقَوْمَنَاۤ اَجِیْبُوْا دَاعِیَ اللّٰهِ وَ اٰمِنُوْا بِہٖ یَغْفِرْ لَكُمْ مِّنْ ذُنُوْبِكُمْ وَ یُجِرْكُمْ مِّنْ عَذَابٍ اَلِیْمٍ ﴿۳۱﴾ وَ مَنْ لَّا یُجِبْ دَاعِیَ اللّٰهِ فَلَیْسَ بِمُعْجِزٍ فِی الْاَرْضِ وَلَیْسَ لَہٗ مِنْ دُوْنِہٖۤ اَوْلِیَآءُ ؕ اُولٰٓئِكَ فِیْ ضَلٰلٍ مُّبِیْنٍ ﴿۳۲﴾
- سُوْرَةُ الرَّحمٰن
- یٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ اِنِ اسْتَطَعْتُمْ اَنْ تَنْفُذُوْا مِنْ اَقْطَارِ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ فَانْفُذُوْا ؕ لَا تَنْفُذُوْنَ اِلَّا بِسُلْطٰنٍ ﴿۳۳﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۴﴾ یُرْسَلُ عَلَیْكُمَا شُوَاظٌ مِّنْ نَّارٍ ۬ۙوَّ نُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرٰنِ ﴿۳۵﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۶﴾
- سُوْرَةُ الحَشر
- لَوْ اَنْزَلْنَا هٰذَا الْقُرْاٰنَ عَلٰی جَبَلٍ لَّرَاَیْتَہٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْیَةِ اللّٰهِ ؕ وَ تِلْكَ الْاَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ یَتَفَکَّرُوْنَ ﴿۲۱﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِیْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚعٰلِمُ الْغَیْبِ وَ الشَّهَادَةِ ۚهُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِیْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚاَلْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلٰمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَیْمِنُ الْعَزِیْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَکَبِّرُ ؕ سُبْحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یُشْرِكُوْنَ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰی ؕ یُسَبِّحُ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ۚوَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ ﴿۲۴﴾
- سُوْرَةُ الجنّ
- بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
- قُلْ اُوْحِیَ اِلَیَّ اَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْۤا اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا ﴿۱﴾ یَّہْدِیْۤ اِلَی الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِہٖ ؕ وَ لَنْ نُّشْرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ﴿۲﴾ وَّ اَنَّہٗ تَعٰلٰی جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّ لَا وَلَدًا ﴿۳﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ یَقُوْلُ سَفِیْهُنَا عَلَی اللّٰهِ شَطَطًا ﴿۴﴾ وَّ اَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنْ لَّنْ تَقُوْلَ الْاِنْسُ وَ الْجِنُّ عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ﴿۵﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْاِنْسِ یَعُوْذُوْنَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوْهُمْ رَهَقًا ﴿۶﴾ وَّ اَنَّهُمْ ظَنُّوْا کَمَا ظَنَنْتُمْ اَنْ لَّنْ یَّبْعَثَ اللّٰهُ اَحَدًا ﴿۷﴾ وَّ اَنَّا لَمَسْنَا السَّمَآءَ فَوَجَدْنٰهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِیْدًا وَّ شُهُبًا ﴿۸﴾ وَّ اَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ؕ فَمَنْ یَّسْتَمِعِ الْاٰنَ یَجِدْ لَہٗ شِهَابًا رَّصَدًا﴿۹﴾
- سُوْرَةُ الإخلاص
- بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
- قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ﴿۱﴾ اللّٰهُ الصَّمَدُ ﴿۲﴾ لَمْ یَلِدْ ۙوَ لَمْ یُوْلَدْ ﴿۳﴾ وَ لَمْ یَكُنْ لَّہٗ كُفُوًا اَحَدٌ ﴿۴﴾
- سُوْرَةُ الفَلَق
- بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
- قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ﴿۵﴾
- سُوْرَةُ النَّاس
- بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
- قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿۱﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۙالْخَنَّاسِ ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ ﴿۶﴾
রুকইয়াহ করার কিছু বৈধ, উপযোগী ও প্রয়োজনীয় কিছু দোয়া
রুকইয়ার আয়াতগুলো তিলাওয়াতের আগে অথবা পরে কিছু দোয়ার মাধ্যমেও রুকইয়া করা উচিত।
এর অনেক উপকারিতা আছে। তাই এখানে রুকইয়ার উপযোগী কিছু দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া অনেক সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যায়না, সেক্ষেত্রে এই দোয়াগুলো বারবার পড়ে
রুকইয়াহ করতে পারবেন।
- اَللّٰهُ اَكْبَرُ كَبِيْرًا وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْرًا وَسُبْحَانَ اللّٰهِ بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا
- أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ
- أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهٖ وَعِقَابِهٖ وَشَرِّ عِبَادِهٖ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَّحْضُرُوْنِ
- أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ شرِّ مَا خَلَقَ(৩বার)
- بِسْمِ اللّٰه ِالَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ(৩বার)
- بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُّؤْذِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اَللّٰهُ يَشْفِيْكَ، بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ(৩বার)
- بِاسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَّشْفِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ
- اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا(৩বার)
- حَسْبِيَ اللّٰهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ(৭বার)
- بِسْمِ اللّٰهِ (৩বার)، أَعُوْذُ بِعِزَّةِ اللّٰهِ وَقُدْرَتِهٖ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ (৭বার) ،
- أَسْأَلُ اللّٰهَ الْعَظِيْمَ، رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، أَنْ يَّشْفِيَكَ (৭বার) ،
- أَعُوْذُ بِاللّٰهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ هَمْزِهٖ وَنَفْخِهٖ وَنَفْثِهٖ
- أَعُوذُ بِاللّٰهِ الْعَظِيْمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
- أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ الَّتِيْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيْهَا ، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِى الْأَرْضِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا ، وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمٰنُ
- اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيْمِ ، وَكَلِمَاتِكَ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ ، اَللّٰهُمَّ أَنْتَ تَكْشِفُ الْمَغْرَمَ وَالْمَأْثَمَ ، اَللّٰهُمَّ لَا يُهْزَمُ جُنْدُكَ ، وَلَا يُخْلَفُ وَعْدُكَ ، وَ لَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدِّ ، سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ
- اَللّٰهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ يَنْكَأُ لَكَ عَدُوًّا ، أَوْ يَمْشِيْ لَكَ إِلٰى صَلَاةٍ.
- اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ ، اَللّٰهُمَ اسْتُرْ عَوْرَتِيْ ، وَآمِنْ رَوْعَتِيْ ، وَاحْفَظْنِيْ مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ ، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِيْ وَمِنْ فَوْقِيْ ، وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ
- اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ، لاَ إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ
- يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ، أَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهٗ، وَلَا تَكِلْنِيْ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ،
- رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا
- رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَعُوْذُ بِكَ رَبِّ أَن يَّحْضُرُونِ
- رَبُّنَا اللّٰهُ الَّذِيْ فِي السَّمَاءِ تَقَدَّسَ اسْمُكَ، أَمْرُكَ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، كَمَا رَحْمَتُكَ فِي السَّمَاءِ فَاجْعَلْ رَحمَتَكَ فِي الْأَرْضِ، وَاغْفِرْ لَنَا حُوْبَنَا وَخَطَايَانَا، أَنْتَ رَبُّ الطَّيِّبِيْنَ أَنْزِلْ رَحْمَةً مِّنْ رَحْمَتِكَ وَشِفَاءً مِّنْ شِفَائِكَ عَلٰى كُلِّ وَجَعٍ،
- اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ عَبْدُكَ، وَابْنُ عَبْدِكَ،وَابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهٖ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهٗ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهٗ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهٖ فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ وَنُوْرَ صَدْرِيْ وَجِلَاءَ حُزْنِيْ وَذَهَابَ هَمِّيْ،
- اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ، وَقَهْرِ الرِّجَالِ،
- اَللّٰهُمَّ ذَا السُّلْطَانِ الْعَظِيْمِ، ذَا الْمَنِّ الْقَدِيْمِ، وَذَا الْوَجْهِ الْكَرِيْمِ ، وَلِيِّ الْكَلِمَاتِ التَّامَّاتِ وَالدَّعَوَاتِ الْمُسْتَجَابَاتِ ، عَافِنَا مِنْ أَنْفُسِ الْجِنِّ ، وَأَعْيُنِ الْإِنْسِ
- أَعُوْذُ بِوَجْهِ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ الَّذِيْ لَا شَيْءَ أَعْظَمُ مِنْهُ ، وَبِكَلِمَاتِهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، وَأَسْمَاءِ اللّٰهِ الْحُسْنٰى كُلِّهَا مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمْ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ لَا أُطِيْقُ شَرَّهُ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ ، إِنَّ رَبِّيْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ،
- اَللّٰهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمٰوَاتِ وَالْأَرْضِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَّمَلِيْكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِيْ، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَ شِرْكِهِ ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلٰى نَفْسِيْ سُوْءًا، أَوْ أَجُرَّهُ إِلٰى مُسْلِمٍ،
- اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْأَرْضِ، وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ، فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى، وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيْلِ وَالْفُرْقَانِ، أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ،
- اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوْءُ بِذَنْۢبِيْ فَاغْفِرْ لِيْ فَإِنَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ.
- اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ ، عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ ، وَأَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ ، مَا شَاءَ اللّٰهُ كَانَ ، وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ ، أَعْلَمُ أَنَّ اللّٰهَ عَلىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ، وَأَنَّ اللّٰهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِيْ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌۢ بِنَاصِيَتِهَا ، إِنَّ رَبِّيْ عَلىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ
- اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم، وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم ، وَأَنْتَ الْمُسْتَعَانُ، وَعَلَيْكَ الْبَلَاغُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ
- اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ مُحَمَّدٍ، وَعَلىٰ آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيْمَ، وَعَلىٰ آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ، اللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلىٰ مُحَمَّدٍ وَّعَلىٰ آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلىٰ إِبْرَاهِيْمَ وَعَلىٰ آلِ إِبْرَاهِيْمَ، إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ?
সাধারণত সকল প্রকার রোগের জন্য রুকইয়াহ করা যায়। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْاٰنِ مَا ہُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحْمَۃٌ لِّلْمُؤْمِنِیۡنَ
ۙ وَ لَا یُزِیۡدُ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا خَسَارًا ﴿۸۲﴾ [بنی اسرآءِیل]
আমি নাযিল করেছি কুররান এতে রয়েছে মুমিনদের জন্য চিকিৎসা/রোগমুক্তি বা শিফা এবং
রহমত। (সূরা বনী ইসরাইল আয়াত নং ৮২)
চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে সেই রোগের কোনরকম চিকিৎসা থাকুক বা না থাকুক, সকল রোগের
যেমন শারীরিক, মানসিক, আত্মিক ও অতিপ্রাকৃতিক রোগের জন্য রুকইয়াহ করা যায়।
রুকইয়াহ মনের আশা পূরণের জন্য কোন জাদু মন্ত্রের অংশ নয়।
নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কোন তদবির নই কিংবা দ্রুত বিয়ে
হওয়ারও কোনো তদবির নয়। আবার পরীক্ষায় ভালো ফলাফল কিংবা ব্যবসায় উন্নতি করার
কোন রাস্তাও নই রুকইয়াহ। বরং এটা শুধুমাত্র একটা চিকিৎসা পদ্ধতি মাত্র যার
মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে বিভিন্ন ধরনের রোগের
চিকিৎসা করা হয়।
রুকইয়াহ কিভাবে করবেন?
মহান আল্লাহ তাআলার কালাম অর্থাৎ কোরআনের আয়াত, আল্লাহর বিশেষ কিছু গুণবাচক নাম,
ছহীহ দোয়া পড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির উপর ফুঁ দিতে হবে অথবা পুরো শরীরে হাত বুলাতে
হবে। আপনারা নিজের উপরেও কোরআনের আয়াত, আল্লাহর বিশেষ গুণবাচক নাম, দোয়া পড়ে
নিজের শরীরও হাত বুলাতে পারেন আবার অন্যদেরকেও ফুঁ দিয়ে দিতে পারেন।
এছাড়াও আপনারা চাইলে পানি বা তেলের উপর কোরআনের আয়াত, আল্লাহর বিশেষ নাম, দোয়া
পড়ে ফুঁ দিয়ে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। কোরআনের আয়াত আল্লাহর বিশেষ গুণবাচক
নাম সহিহ দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করাই হচ্ছে
রুকইয়াহ। তবে রুকইয়াহ করার সময় অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার উপর অঢেল বিশ্বাস
রাখতে হবে।
পৃথিবীর কারোই কোন শক্তি নেই, একমাত্র মহান আল্লাহ তা'আলা সুস্থ করবেন। মহান
আল্লাহ তায়ালার সাথে ইবাদত বন্দেগির ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে। মহান
আল্লাহ তাআলাকে অনুভব করতে হবে তার কাছে একমাত্র আরোগ্য চাইতে হবে। কেননা মহান
আল্লাহ তা'আলা একমাত্র শেফা দানকারী মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একমাত্র আরোগ্য আসে।
রুকইয়াহতে ব্যবহৃত বিভিন্ন পরিভাষা
- রাক্বীঃ চিকিৎসক,যিনি মহান আল্লাহ তায়ালার উপর তাওয়াক্কুল বা পূর্ণ আস্থা রেখে ঝাড়ফুঁক করেন।
- মারকীঃ রোগী, যিনি মহান আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রেখে সাহায্য চেয়ে ঝাড়ফুঁক নিয়ে থাকেন।
- আয়াতুল হারকঃ যে সকল কুরআনের আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা কবরের আযাবের কথা উল্লেখ করেছেন, অপরাধের শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন, জাহান্নামের আগুনের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপরে গজব নিয়ে বলা হয়েছে সেই সকল আয়াতকে আয়াতুল হারক বলা হয়।
- আয়াতুশ শিফাঃ যে সকল কুরআনের আয়াতে মহান আল্লাহ তা'আলা সুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন সেই আয়াত গুলোকেই মূলত আয়াতুশ শিফা বলা হয়। সাধারণত প্রসিদ্ধ আয়াতুশ শিফা হচ্ছে ছয়টি। প্রসিদ্ধ ছয়টি আয়ত সিফা হলো যেমন ১৪ নং আয়াত সূরা তওবা, ৫৭ নং আয়াত সূরা ইউনুস, ৫৯ নং আয়াত সূরা নাহাল, ৮২ নং আয়াত সূরা বনী ইসরাঈল, ৮০ নং আয়াত সূরা শুআরা, ৪৪ নং আয়াত সূরা হামিম আস সাজদা।
- সিহরের আয়াতঃ সাধারণত সিহর অর্থ হচ্ছে জাদু। মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনে যে সকল আয়াতে জাদুর কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোকেই মূলত সিহরের আয়াত বলা হয়। তবে সকলের সুবিধার্থে সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াত, সূরা আরাফের ১১৭-১২২ নং আয়াত, সূরা ইউনুস এর ৮১-৮২ নং আয়াত, সূরা তোহার ৬৯ নং আয়াত পড়তে পারি।
- তিন কুলঃ সূরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সূরা নাস।
- চার কুলঃ সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা কাফিরুন।
- আট সূরাঃ সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা কাফিরুন, সূরা ইয়াসিন, সূরা সফফাত, সূরা দুখান, সূরা জ্বীন, সূরা জিলজাল।
লেখকের ইতি কথাঃ রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ?
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের
জন্য রুকইয়াহ? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমান
সময়ে মানুষ পৃথিবীর বুকে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও আত্মমর্যাদার অধিকারী হয়ে এই
জীবনকে সুন্দরভাবে সম্মানের সাথে কাটাতে চাই। কিন্তু একজন মানুষ যখন উক্ত
বিষয়গুলো পেয়ে যাই তখন অন্য মানুষ বা তার প্রতিবেশী এমনকি তার কাছের
আত্মীয়-স্বজনরাই হিংসার বর্ষবর্তি হয়ে তার উপরে বদ নজরে প্রভাব ফেলে এমনকি
শির্ক ও কুফর এর মাধ্যমে জাদুটোনা করে ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করে।
তাই এই সমস্ত ক্ষতি থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রতিদিন নিয়মিত মাসনুন জিকির গুলো করতে
হবে। সাথে সাথে সব ধরনের পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে, হালাল রুজি ভক্ষণ করতে
হবে। এর সাথে সাথে একমাত্র মহান আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চেয়ে কুরআনিক
চিকিৎসা রুকইয়াহ শারইয়াহর মাধ্যমে সুস্থতা কামনা করতে হবে এবং সব সময় তাঁর
উপরেই দৃঢ় বিশ্বাস এবং আস্থা রাখতে হবে।মহান আল্লাহ তাআলা ছাড়া কখনো কাউকে ভয়
পাওয়া যাবে না। এই সমস্ত বিপদাপদ বালা মুসিবত থেকে রেহাই পেতে অবশ্যই আপনাকে
রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ? এ বিষয় সম্পর্কে পড়ে ভালোভাবে
জেনে নিতে হবে।
এবং শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই সকল কাজ করতে হবে
তবেই আপনি পরকালীন জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তবে যদি আপনার জীবনকে উভয়
জগতে ভালোভাবে উপভোগ করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে রুকইয়াহ কি? - কোন কোন
রোগের জন্য রুকইয়াহ? এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে
আপনি খুব দ্রুতই একটি সুখী ও সুন্দর সাজানো গোছানো সম্মানের জীবন যাপন করতে
পারবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি
নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ? এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি
ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। রুকইয়াহ কি? - কোন কোন রোগের জন্য রুকইয়াহ? এ বিষয়
সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে
দেওয়া মতামত বাক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন
আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন।



কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url