সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার ১৭টি ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল
আপনি কি আপনার জীবনের যাবতীয় ঝড়-ঝন্ডা ও চড়াই-উৎরাই কে দূরে রেখে সফলতার জন্য
নিজেকে ডেভলপ করে একটি সুখকর জীবন যাপন করতে চান? তাহলে আপনার আর চিন্তার কোন
কারণ নেই। কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে সফলতার জন্য নিজেকে
ডেভলপ করার ১৭টি ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও
প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার ১৭টি
ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে
জানাবো, যেগুলিকে জেনে ও কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার জীবনকে সফলতার
দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়ে একটি সুখকর জীবন কাটাতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র
আপনার জন্যই। সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার ১৭টি ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল এই
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য বিষয়ে
বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভূমিকা
সাধারণত সফলতা হচ্ছে জীবনের এক কঠিন ও পরিশ্রমের যাত্রা যা প্রতিটি মানুষের তুমুল
ভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার স্বপ্ন থাকে তবে অনেকেই সে গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে
না। এখানে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম, নিয়মিত কাজের ধারাবাহিকতা এবং ধৈর্যের পরীক্ষা।
সম্মানিত পাঠক আজকে আমাদের মূল ট্রপিক হচ্ছে সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার ১৭টি
ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল সে বিষয়ে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
আপনারা যদি নিচের কথাগুলো মেনে চলেন তাহলে আপনাদের জীবনে সফলতার তরী সুখ বয়ে
আনবে ইনশাআল্লাহ। সাধারণত বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ এই ছোট ছোট জিনিস গুলো না
মানার কারণে তারা নিজের জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারেনা। প্রত্যেক মানুষেরই সফল
হওয়ার জন্য ও জীবন সুন্দর করার জন্য নিচের পরামর্শ গুলো মেনে চলা অতান্ত জরুরী।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন,
তাহলে সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার ১৭টি ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল সম্পর্কে
পুরোপুরি ভালোভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও মানসিকতার (Mindset) উন্নয়ন করুন,
জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়ন করুন, ( Time Management ) সময় ব্যবস্থাপনা, মানসিক ও
শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করুন, নেটওয়ার্ক ও সম্পর্ক গঠন, আত্ম-পর্যালোচনা ও
পরিকল্পনা, ঝুঁকি নেওয়া ও নতুন কিছু চেষ্টা করা, পরিচিত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে
আসুন,
সাময়িকভাবে পিছিয়ে আসা - সফলতার জন্য প্রস্তুতি, যেকোনো একটি নির্দিষ্ট স্কিল
ডেভেলপ করুন, একজন ভালো মেন্টর খুঁজে নিন, অর্থের সঠিক ব্যবহার করুন পাশাপাশি
ভ্রমণ করুন, প্রোডাক্টিভ মানুষের সংস্পর্শে থাকুন, নিজের স্বাস্থ্যের ভালোভাবে
যত্ন নিন, সফল ব্যক্তিদের কৌশল ও অভ্যাস গুলো অনুসরণ করুন,
প্রয়োজনীয় বই পড়তে হবে এবং গবেষণা করতে হবে, ধৈর্য এবং একাগ্রতা ধরে রাখতে হবে
এই বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি সফলতার জন্য নিজেকে
ডেভলপ করার ১৭টি ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের
এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার ১৭টি ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল
যেকোনো কাজে সফলতা অর্জন করতে কে না চায়? সকলেই চাই। আর সফলতা অর্জন করার জন্য
নিজেকে develop করা অত্যন্ত জরুরী। সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ বা উন্নত করার মানে
শুধুমাত্র নিজেকে পরিবর্তন করা নয়, বরং নিজের অভ্যাস, নিজের মানসিকতা, নিজের
দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে এমন করে তৈরি করতে হবে, যেন আপনি যে কোন ক্ষেত্রে
প্রতিযোগিতামূলক হতে পারেন এবং আপনি আপনার লক্ষ্য খুবই সুন্দরভাবে পূরণ করতে
সক্ষম হন।
আর এই জন্য আপনাদেরকে পরিচিত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, সাময়িক পিছিয়ে
গিয়ে সফলতার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে, নির্দিষ্ট একটি যেকোন বিষয়ের উপরে স্কিল
ডেভেলপ করতে হবে, একজন ভালো মেন্টর খুজে নিতে হবে, অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে হবে
পাশাপাশি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে, সব সময় প্রোডাক্টিভ মানুষের
সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করতে হবে,
নিজের স্বাস্থ্যের ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে, সবসময় সফল ব্যক্তিদের কৌশল ও
অভ্যাসগুলো অনুসরণ করতে হবে, প্রয়োজনীয় বই পড়তে হবে এবং সেগুলো নিয়ে গবেষণা
করতে হবে, ধৈর্য ও একাগ্রতা ধরে রাখতে হবে। প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের এই
আর্টিকেলের মূল আলোচনায় হচ্ছে সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার কিছু ইউনিক ও
কার্যকরী কৌশল।
সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার কিছু ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল গুলো আপনাদের সাথে
আজকে আলোচনা করব, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন কোন অংশ স্কিপ না করে।
নিচে কিছু ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল গুলো বিস্তারিতভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
মানসিকতার (Mindset) উন্নয়ন করুন
- প্রিয় পাঠক প্রথমেই আপনি আপনার Growth Mindset গড়ে তুলুন। আপনি যে কাজটা শুরু করতে চাচ্ছেন বিশ্বাস রাখুন আপনি সেই কাজটি ভালোভাবে শিখতে পারবেন এবং করতেও পারবেন। “আমি পারবো না” আপনার চিন্তা-ভাবনাকে আমি পারবো? তে রূপান্তর করুন।
- আপনার প্রতিদিনের দৈনন্দিন অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করুন। যেমন ধরুন প্রতিদিন নিয়মিত আধা ঘন্টা ভালো ভালো বই পড়ুন সেখান থেকে জ্ঞান অর্জন করুন, আপনার কাছে যে বিষয়গুলো ইম্পরট্যান্ট মনে হবে সেগুলো নোট করে রাখুন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, তাহলে দেখবেন এই ছোট ছোট বিষয়গুলো ধীরে ধীরে আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
- সব সময় সকল ক্ষেত্রে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা এমন একটি জিনিস আপনি যদি এটাতে জয়ী হতে পারেন, তাহলেই আপনি সফল। একটা কথা অবশ্যই সব সময় মাথায় রাখবেন Consistency হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে কোন উন্নতির ক্ষেত্রে।
জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়ন করুন
- প্রিয় পাঠক প্রত্যেকদিন নতুন নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে এক থেকে দেড় ঘন্টা জ্ঞান অর্জন করা যায় এরকম বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন। যেখানে বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী, লাইফ স্টাইল, তারা তাদের জীবন কিভাবে অতিবাহিত করতো, এগুলো থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। যেখান থেকে আপনি অনেক কিছু শিখে আপনার জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন।
- কখনোই একটি দক্ষতার উপর আপনি সীমাবদ্ধ থাকবেন না। নতুন নতুন স্কিল অর্জন করুন। কেননা একটি দক্ষতা কখনো জীবনে উন্নতি আনতে পারে না। প্রিয় পাঠ এজন্য একটি স্কিল এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে বিভিন্ন স্কিল অর্জন করুন। যেমন ফিন্যান্স, কমিউনিকেশন, টেকনোলজি ইত্যাদি।
- প্রায় সব ক্ষেত্রে সফলতার জন্য অপরিহার্য যেমন টিমওয়ার্ক, লিডারশিপ, যোগাযোগ দক্ষতা, প্রেজেন্টেশন স্কিল ইত্যাদি।
( Time Management ) সময় ব্যবস্থাপনা
- আপনার কাছে যে সকল কাজগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে, সেই কাজগুলো আগে করুন। কেননা Priority Rule ২০% কাজ ৮০% রেজাল্ট প্রদান করে।
- সব সময় Deep Work কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কেননা আপনি যদি একটানা ৩-৪ ঘন্টা কাজে ফোকাসড দেন, তাহলে আপনার কাজটা করতে যতটুকু সময় লাগতো তার চাইতে অনেক কম সময় লাগবে। এজন্য সম্মানিত পাঠক নিরবিচ্ছিন্নভাবে একটানা আপনি আপনার কাজে ফোকাসড করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনি যতো দূরে থাকতে পারবেন, ততোই আপনার জন্য ভালো। প্রিয় পাঠক এইজন্য অপ্রয়োজনীয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সীমিত করুন। ডিজিটাল ডিজিস্ট্রাকশন কমান আপনার জন্য ভালো হবে।
মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করুন
- প্রিয় পাঠক যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে সফলতার জন্য আগে নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। এজন্য আপনারা প্রতিদিন সকালবেলা অন্ততপক্ষে ১০-১৫ মিনিট নীরবে বসে ইয়োগা করুন। এতে করে আপনার ফোকাস এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ দুটোই বৃদ্ধি পাবে।
- শারীরিক ফিটনেস এবং মানসিক ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন সকালবেলা অন্ততপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এছাড়াও সপ্তাহে অন্ততপক্ষে তিন দিন জিমে গিয়ে অথবা বাসায় ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- এছাড়াও আপনাকে আপনার সঠিক ঘুম ও খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাবার প্রডাক্টিভিটি বাড়াতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
নেটওয়ার্ক ও সম্পর্ক গঠন
- সঠিক Mentorship নির্বাচন করুন। আপনাকে এমন কাউকে খুঁজে নিতে হবে যিনি আপনার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন। তাহলে তার কাছ থেকে আপনি অনেক কিছুই শিখতে পারবেন।
- সব সময় পজিটিভ সার্কেল এর সাথে মেলামেশা করুন। কেননা ইতিবাচক ও প্রগতিশীল মানুষের সাথে থাকলে আপনি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন। আর সেগুলো আপনার জীবনেও প্রয়োগ করতে পারবেন।
- নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হন। নেটওয়ার্কিং হ্যাবিট নিজের মধ্যে গড়ে তুলুন। তাদের সাথে আপনি আপনার বিষয়ে আলোচনা করুন আপনার বিষয়ে শেয়ার করুন এর মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
আত্ম-পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা
- প্রতিদিন নিয়মিত জার্নাল লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন আপনি কি শিখলেন, আপনার কি কি উন্নতি হলো, আপনি কোন কিছু ভুল করলেন, এগুলো নিয়মিত একটি নোটে লিখে রাখুন। এর ফলে যদি আপনার কোন ভুল ভ্রান্তি হয়, তবে পরবর্তীতে শুধরে নিতে পারবেন। আবার নতুন কোন আইডিয়া মাথায় আসলে যোগ করতে পারবেন।
- নিজের মধ্যে স্মার্ট গোল সেটআপ করুন। এতে করে আপনি প্রতিদিন কত সময় কাজ করছেন? কিভাবে কাজ করছেন? সেই কাজে সফলতা অর্জন করতে পারছেন কিনা? আপনার পরিকল্পনা ঠিক আছে কিনা? ইত্যাদি বিষয়ে আপনার আত্ম-পর্যালোচনা করা হবে।
- প্রত্যেক সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার করে নিজের অগ্রগতি মাপুন। এতে করে আপনি কতটুকু উন্নতি করতে পারছেন, আপনার কাজের ধরন,কাজের পরিকল্পনা, কাজের সফলতা এই সকল কিছু বুঝতে পারবেন।
ঝুঁকি নেওয়া ও নতুন কিছু চেষ্টা করা
- Comfort Zone ভেঙে ফেলুন নতুন নতুন কাজ করার চেষ্টা করুন। কখনোই ব্যর্থতাকে ভয় পাবেন না। কখনো যদি ব্যর্থ হন তো কি হয়েছে আরও একবার চেষ্টা করুন। কখনোই ভেঙে পড়বেন না, হাল ছাড়বেন না, সফলতা আপনারই হবে ইনশাআল্লাহ।
- ভুলকে কখনো ব্যর্থতা ভাববেন না, ভুলকে সবসময় শিখার সুযোগ হিসেবে নিন। আপনার যদি একবার ভুল হয়, তাহলে ওখান থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। পরবর্তীতে আর তাহলে সেই ভুল হবে না। মনে রাখবেন Fail Fast, Learn Faster.
- সব সময় কাজের ক্ষেত্রে Experimentation Habit রাখুন এবং ছোট ছোট এক্সপেরিমেন্ট গুলো আপনার কাজে প্রয়োগ করুন কোনটি কাজ করছে। এখান থেকেও আপনার অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হবে।প্রিয় পাঠক আপনি যদি জীবনের সফলতা অর্জন করতে চান, সেক্ষেত্রে সঠিক মানসিকতা, ধারাবাহিক শিক্ষা, সময় ব্যবস্থাপনা, সুস্থতা, নেটওয়ার্ক, আত্মপর্যালোচনা, ঝুঁকি নেওয়া, এই কৌশলগুলো প্রতিদিন অল্প অল্প করে আপনার জীবনে প্রয়োগ করলে আপনি এক বছরে আপনার জীবন সম্পন্ন বদলে ফেলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
পরিচিত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসুন
সম্মানিত পাঠক আপনার আশেপাশের মানুষজন যেমন বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদি
মানুষজন যদি আপনাকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে সহায়তা না করে তাহলে সেই পরিবেশ থেকে
বেরিয়ে আসায় সবচেয়ে উত্তম হবে। একটা কথা সব সময় মাথায় রাখবেন বড় গাছের নিচে
কখনোই ছোট গাছ বেড়ে উঠতে পারে না। এই জন্য সব সময় অন্যের ছাড়াই না থেকে বরং
নিজের জন্য একটি নতুন জায়গা বা অবস্থান তৈরি করুন।
যদি দেখেন যে আপনি আপনার শহরে থেকে তেমন কোন কিছু করতে পারছেন না, সব ক্ষেত্রে
ব্যর্থ হচ্ছেন? সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নিজের শহর ছেড়ে নতুন কোন জায়গায় গিয়ে
আপনার অবস্থান তৈরি করা উচিত। যেখানে আপনার নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ-সুবিধা
থাকবে। আর সেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন।
একটা মানুষ কখনোই একদিনে বড় হয় না বরং কাজ করে, ভুল হয়, ঠেকে তারপরই শেখে।
এভাবেই নিজেকে একজন অভিজ্ঞ সফল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলুন।
সাময়িকভাবে পিছিয়ে আসা - সফলতার জন্য প্রস্তুতি
অনেক সময় সফলতা পেতে হলে নিজেকে কিছুদিন লুকিয়ে রাখতে হয়। গতি বানানোর জন্য
পেস বোলাররা যেমন পিছনে সরে আসে, ঠিক তেমনি আপনাকেও মাঝে মধ্যে ধৈর্য ধারণ করে
সঠিক পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে আপনার সফলতা কেউ আটকাতে পারবেনা। ভালো
কিছু পেতে হলে সমালোচনা আসবেই। আর আপনাকে সমালোচনার মুখোমুখিও হতে হবে,
ভেঙে পড়লে চলবে না বরং সমালোচনার সময় নিজে ভেঙে না পড়ে বরং এমনভাবে প্রতিবাদ
করুন যেন আপনার সফলতা দেখে একদিন সেই সমালোচনাকারীরাই আপনার প্রশংসা করতে বাধ্য
হয়। আপনার মেইন টার্গেট হবে সফলতা। প্রিয় পাঠক একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন
“Success is the best Revenge”। একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন সমালোচনাকারেরা
সবসময় সমালোচনা করেই যাবে, তাদের কাজই অন্যের সমালোচনা করা।
আর সেটা ভেবে যদি আপনি ভেঙ্গে পড়েন, সেক্ষেত্রে লসটা আপনারই হবে। তাই
সমালোচনাকারীদের মুখে জবাব দিতে সাময়িকভাবে নিজেকে সবকিছু থেকে দূরে সরিয়ে
সফলতার জন্য খুবই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন এবং সমালোচনাকারীদের মুখে কড়া জবাব
দিন। যারা সমালোচনা করেছিল তারাই একদিন আপনার প্রশংসা করবে।
যেকোনো একটি নির্দিষ্ট স্কিল ডেভেলপ করুন
বর্তমান সময়ে এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে একটি ভালো স্কিল আপনাকে আপনার ডিগ্রী থেকেও
বেশি প্রোডাক্টিভ করতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছে না? হ্যাঁ আমি যেটা বলেছি এটাই সত্যি।
বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের স্কিল রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে যদি
আপনি যেকোনো একটি বিষয়ে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করেন, তাহলে আপনার
সফলতা কেউ আটকাতে পারবেনা। বর্তমান সময়ে টাকা ছাড়া মানুষের মূল্য নাই।
যার টাকা আছে তার মান সম্মান সবকিছু রয়েছে, আর যার টাকা নাই সে যতোই ভালো মানুষ
হোক তার পাশে কেউ থাকে না এটাই চরম বাস্তব সত্য। প্রিয় পাঠক তাই আপনার মূল্যবান
সময় গুলো অযথা নষ্ট না করে সেগুলো কাজে লাগান। যেকোনো নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে
খুবই ভালোভাবে স্কিল ডেভলপ করুন। সম্মানিত পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু
স্কিলের নাম উল্লেখ করা হলো আপনারা আপনাদের পছন্দমত নিচের যে কোন একটি স্কিলে
দক্ষতা অর্জন করুনঃ
- কোডিং
- ডাটা-এন্ট্রি
- ইউটিউবিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ওয়েব ডিজাইন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
সম্মানিত পাঠক উপরে উল্লেখিত স্কিল গুলোর মধ্যে যেকোন নির্দিষ্ট একটি স্কিলের
পেছনে টানা ৩-৬ মাস পর্যন্ত কিংবা তারও অধিক সময় লেগে থাকুন দেখবেন সফলতা আপনারই
হবে। যে স্কিল টা আপনারা শেখার জন্য নির্বাচন করবেন সেটা ধৈর্য ধরে খুবই ভালোভাবে
শিখুন সেখান থেকে ভালো কিছু করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
একজন ভালো মেন্টর খুঁজে নিন
প্রিয় পাঠক আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে চান
পাশাপাশি সেই বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রথমেই
একজন ভালো দক্ষ উপযুক্ত মেন্টর নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনি আপনার মেন্টরের
নির্দেশনা অনুযায়ী তার গাইডলাইন অনুসরণ করুন পাশাপাশি ভালো বই পড়তে পারেন,
ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে পারেন, সাথে কোর্স করুন।
এছাড়াও যে সকল ব্যক্তিবর্গরা সফলতা অর্জন করেছে সেই সকল ব্যাক্তিদের জীবনী থেকে
শিক্ষা নিন। কেননা তাদের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছুই রয়েছে। কথায় আছে শিক্ষার
কোন বয়স নেই। যেকোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করার সময় কখনই ধৈর্য
হারা হবেন না বরং ধৈর্য ধরে, সঠিক পরিকল্পনা করে, আপনি আপনার কাজের সাথে লেগে
থাকুন, দেখবেন আপনি সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।
অর্থের সঠিক ব্যবহার করুন পাশাপাশি ভ্রমণ করুন
আমরা অনেকেই রয়েছি যেটা প্রয়োজনীয় জিনিস সেটাও কিনি, আবার যেটার প্রয়োজন নেই
সেটাও কিনি। এভাবে অর্থের ব্যবহার না করে আপনার যে জিনিসগুলোর প্রয়োজন সেগুলো
কিনে, বাকি টাকা সঞ্চয় করুন। এখন অনেকের মনে হতে পারে কিনলে কি সমস্যা? প্রিয়
পাঠক আপনি যে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো প্রতিনিয়ত কিনছেন সেগুলো আপনার কাজে লাগছে
না, পড়েই রয়েছে, আপনি যদি ছোট থেকে বড় প্রত্যেকটা জিনিসের হিসাব করেন, তাহলে
কিন্তু একসময় সেটা বড় এমাউন্ট হবে।
তাই অযথাই অর্থ খরচ না করে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে, সেই টাকা সঞ্চয় করুন। সারা
বিশ্বে মহান আল্লাহ তায়ালার আশ্চর্যজনক অনেক সৃষ্টি রয়েছে, যেগুলো আমরা দেখিনি।
এমন অনেক জিনিস নাই? আছে তো। প্রিয় পাঠক আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি দেখে ভালোভাবে
উপভোগ করার জন্য একটি একটি করে দেশ ভ্রমণ করুন। এতে করে যেমন আপনার আন্তর্জাতিক
অভিজ্ঞতা তৈরি হবে, ঠিক তেমনি আপনার মন মাইন্ড ফ্রেশ হবে।
এছাড়াও আপনারা যখন ইন্টারন্যাশনাল কালচার গুলোর সাথে পরিচিত হবেন পরিচিত হওয়ার
ফলে আপনারা বড় বড় দেশগুলোতে যাওয়ার সুযোগ- সুবিধা পাবেন। সারা বিশ্বে মহান
আল্লাহর অনেক মনোমুগ্ধকর সৃষ্টি রয়েছে, যেগুলো দেখলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মহান
আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি কতই না সুন্দর মাশাআল্লাহ। এইজন্য নিজের মন মাইন্ড ফ্রেশ
করতে পাশাপাশি প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে বেশি বেশি ভ্রমণ করুন। কেননা ভ্রমণের
গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রোডাক্টিভ মানুষের সংস্পর্শে থাকুন
প্রিয় পাঠক এমন এমন মানুষের সঙ্গে চলাফেরা ওঠা-বসা করুন যেন তাদের কাছ থেকে
আপনিও কিছু শিখতে পারেন এবং সেগুলো আপনার জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন। সাধারণত অনেক
অলস বা নেতিবাচক মানসিকতার মানুষ রয়েছে। যাদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও তাদের
মতোই হতে বাধ্য। কথায় আছে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। আপনি যে রকম সঙ্গের সাথে চলাফেরা
করবেন, ওঠা-বসা করবেন, আপনার উপরেও সেই প্রভাব গুলোই পড়বে।
তাই জন্য প্রিয় পাঠক অলস বা নেতিবাচক মানসিকতার মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন এবং
সব সময় প্রোডাক্টিভ মানুষের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার উপর
তাদের ভালো ভালো প্রভাব গুলো পড়বে। আপনি সেগুলো আপনার জীবনে প্রয়োগ করে অনেক
কিছু শিখতে পারবেন জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক এইজন্য সবসময় সৎ, পরিশ্রমী ও
উদ্যোগী মানুষের সাথে সময় কাটান এবং তাদের থেকে শেখার চেষ্টা করুন।
যে সকল মানুষ সৎ, উদ্যমী ও পরিশ্রমী হয় তারা কখনোই অন্যজনকে খারাপ পরামর্শ দেয়
না। সব সময় ভালো পরামর্শ দেয়। তাই প্রিয় পাঠক অলস ও নেতিবাচক মানুষের সঙ্গ
ছেড়ে উদ্যমী পরিশ্রমী ও সৎ মানুষের সাথে সময় কাটান এবং তাদের থেকে অনেক কিছু
শেখার চেষ্টা করুন। এতে করে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে আপনি আপনার জীবনে
প্রয়োগ করে আপনার সফলতার রাস্তাটা পরিষ্কার করতে পারবেন এবং খুব সহজেই নিজেকে
একজন সফল মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
নিজের স্বাস্থ্যের ভালোভাবে যত্ন নিন
শরীর সুস্থ থাকলে মন এমনিতেই ভালো থাকে। তাই জন্য প্রত্যেক মানুষেরই উচিত নিজের
স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। এতে করে নিজের যেমন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে,
ঠিক তেমনি মনও প্রফুল্ল থাকবে। সুস্থতা যে মহান আল্লাহ তায়ালার কত বড় নেয়ামত
সেটা একমাত্র অসুস্থ ব্যাক্তিরাই জানেন। এই জন্য সম্মানিত পাঠক নিজের স্বাস্থ্যের
প্রতি অবহেলা না করে সব সময় নিজের স্বাস্থ্য ও ফিটনেস এর প্রতি সজাগ থাকুন।
নিজের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু সময় ব্যয় করুন।
যেমন ধরুন জিমে গিয়ে অথবা বাড়িতে নিয়মিত শরীর চর্চা করুন পাশাপাশি সকালবেলা
ইয়োগা করতে পারেন। সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনারা যদি
নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনাদের শরীরের গঠন পরিবর্তন হবে
পাশাপাশি শরীর থাকবে সুস্থ সবল। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে হাত হবে শক্তিশালী,
বুক হবে পেশী বহুল ও পায়ের গঠন হবে মজবুত। তাই জন্য প্রিয় পাঠক সুস্বাস্থ্যের
জন্য ব্যায়াম অপরিহার্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন পাশাপাশি ভিটামিন মিনারেল সমৃদ্ধ
খাবার গ্রহণ করুন, বেশি বেশি পানি পান করুন ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
সফল ব্যক্তিদের কৌশল ও অভ্যাস গুলো অনুসরণ করুন
প্রিয় পাঠক যে সকল সফল ব্যক্তিবর্গরা রয়েছে আপনারা তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ
কৌশল গুলো অবলম্বন করে নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন। এতে করে আপনি অনেক উপকৃত
হবেন। যেমন এলন মাস্ক প্রতিদিন প্রায় ১২-১৬ ঘন্টা নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখেন।
মূলত তিনি বহুমুখী দক্ষতা অর্জনে অত্যন্ত বিশ্বাসী। বিল গেটস প্রতিদিন নতুন নতুন
স্কিল শেখার জন্য নির্দিষ্ট সময় ব্যয় করতেন।
শিক্ষার কোন বয়স নেই। প্রিয় পাঠক আপনারা যদি নতুন কিছু শিখতে চান, সেক্ষেত্রে
নতুন স্কিল শেখার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ব্যয় করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আরও একটি বিখ্যাত ব্যক্তি হচ্ছে স্টিভ জবস তিনি নিজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর
জন্য সবসময় অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতেন এবং সবসময় সিম্পল ও
ফোকাসড থাকার উপর জোরদার ছিলেন।
ওয়ারেন বাফেট তিনি তার প্রত্যেকদিনের সময়ের মধ্যে আট ঘন্টা সময় নিয়মিত বই
পড়তেন এবং তিনি সবসময় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় অটল থাকতেন। সম্মানিত পাঠক
জীবনে যদি কিছু করতে চান, নিজেকে সফল হিসেবে গড়ে তুলতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে
অবশ্যই আপনার জীবনধারা, চিন্তাধারা, সবকিছুই বদলাতে হবে। অন্যের ভালো গুণ গুলো
নিজের উপরে প্রয়োগ করতে হবে এবং নিজের খারাপ গুণগুলো পরিহার করতে হবে, তাহলে
আপনি নিজেকে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় বই পড়তে হবে এবং গবেষণা করতে হবে
নিজেকে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে পড়াশোনার কোনো শেষ নেই। যতো
পড়াশোনা করবেন ততো আপনি জ্ঞানী হতে পারবেন জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আর আপনার
জ্ঞানের পরিধি যতো বৃদ্ধি পাবে আপনি নিজেকে ততো দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু বইয়ের নাম উল্লেখ করা হলো সেগুলো
আপনারা পড়তে পারেন।
- ১.অভ্যাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে সফল হওয়ার কৌশল “Atomic Habits”- James Clear
- ২.সফল ব্যক্তিদের মূল অভ্যাস “The 7 Habits of Highly Effective People”- Stephen Covey
- ৩.গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করার দক্ষতা “Deep Work”- Cal Newport
- ৪.আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের পথ “Think and Grow Rich”- Napoleon Hill
ধৈর্য এবং একাগ্রতা ধরে রাখতে হবে
প্রিয় পাঠক একটা কথা সবসময় মাথায় রাখবেন সফলতা কখনোই একদিন আসে না। আপনি যদি
সফলতা পেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করে, সঠিক পরিকল্পনা করে,
পরিশ্রমী হয়ে কাজ করে যেতে হবে, তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। ধরুন যে
প্রথমবার একটা কাজ করলেন সফলতা পেলেন না, ভেঙে পড়বেন না কখনো, কথায় আছে একবার
না পারিলে দেখো শতবার।
সেখানে তো আপনি একবার চেষ্টা করেছেন, আরোতো ৯৯ বার চেষ্টা করা বাকি, ধৈর্য ধরে
সঠিক পরিকল্পনা করে পরিশ্রমী হয়ে আরো চেষ্টা করুন অবশ্যই আপনি সফলতা অর্জন করতে
পারবেন ইনশাআল্লাহ। সব সময় মহান আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রাখবেন, একমাত্র মহান
আল্লাহ তায়ালা ছাড়া পৃথিবীতে কারো কিছু দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তিনি আপনাকে সফলতা
দেবেন শুধু আপনি চেষ্টা করে যান।
মনে রাখবেন পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। কোন কাজে সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে ধৈর্য
জিনিসটা হচ্ছে অনেক বড়। ধৈর্য ধরে কাজ করতে সবাই পারেনা। আর যারা ধৈর্য ধারণ করে
কাজ করে যাই,তারাই সফলতা ছিনিয়ে আনে। যেসকল ব্যক্তিবর্গরা শেষ অবধি ধৈর্য ধরে
শেষ পর্যন্ত কাজ করেছেন, তাদের সফলতা নিশ্চিত তারা সফলতা অর্জন করেছেন। তাই কখনোই
ধৈর্য হারা হবেন না। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার দৈনন্দিন যে
ছোট ছোট অভ্যাস গুলো রয়েছে সেগুলো আপনি পরিবর্তন করা শুরু করুন, দেখবেন এখান
থেকে আপনি দীর্ঘমেয়াদে বড় সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
লেখকের ইতি কথাঃ সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার ১৭টি ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো থেকে সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার
১৭টি ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল এ বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত ভাবে জানতে
পেরেছেন। বর্তমান সময়ে মানুষ পৃথিবীর বুকে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও আত্মমর্যাদার
অধিকারী হয়ে এই জীবনকে সুন্দরভাবে সম্মানের সাথে কাটাতে চাই। কিন্তু উক্ত
বিষয়গুলো পাওয়ার জন্য একটি জীবনকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে সুখকর জীবন
কাটাতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে কাজের ধারাবাহিকতা রেখে সামনে এগিয়ে
যেতে হবে।
তাই এই এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে সুন্দর ও সুখকর বা জান্নাতের একটি টুকরো হিসাবে
গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা অবশ্যক। এজন্য
ক্ষণস্থায়ী জীবনের এক টুকরা সুখের দেখা পেতে হলে অবশ্যই নিজেকে একজন সফল মানুষ
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলে আপনি খুব দ্রুতই একটি সুখী ও সুন্দর সাজানো
গোছানো সম্মানের জীবন যাপন করতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি
নিয়মিত ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার ১৭টি ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল এ বিষয়
সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। সফলতার জন্য নিজেকে ডেভলপ করার ১৭টি
ইউনিক ও কার্যকরী কৌশল এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা
প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বাক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার
আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ
থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url