Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড করার কার্যকরী নিয়ম
আপনি কি কোনরকম শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই নিজের ঘরে বসে থেকে স্বল্প পরিশ্রমের
মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করে কোটিপতি হতে চান? তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই।
কারণ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটির মূল আলোচনায় হচ্ছে Freelancer.com একাউন্ট খোলা
ও বিড করার কার্যকরী নিয়ম সেই সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল ও
প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক!
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির মাধ্যমে Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড
করার কার্যকরী নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কে এমন কিছু ইউনিক ও কার্যকরী তথ্য সম্পর্কে
জানাবো, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। আপনি কি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে
Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড করার কার্যকরী নিয়ম এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র
আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করি আলোচ্য
বিষয়ে বিস্তারিতভাবে নির্ভুল সব তথ্য গুলো জানতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
পেজ সূচিপত্রঃ
.
ভুমিকা
সারাবিশ্বে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অল্প সময়ে সবচাইতে বেশি ইনকাম
করার জনপ্রিয় কার্যকরী উপায়। তাই মানুষ তাদের মেধা খাটিয়ে কোনরকম শারীরিক
পরিশ্রম ছাড়াই নিজের ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে।
তাই আপনিও যদি অন্যের আওতায় না থেকে একজন মুক্ত পেশাজীবী হিসেবে নিজেকে
স্বাবলম্বী করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড করার
কার্যকরী নিয়ম এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারনা রাখতে হবে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে
পারবেন Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড করার কার্যকরী নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কে।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্সার ডটকম এ একাউন্ট খোলার নিয়ম, ফ্রিল্যান্সিং এ বিডিং মানে
কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়? কেন ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলা উচিত?
ফ্রিল্যান্সার ডট কমে বিডিং করার নিয়ম,
ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে কাজ করে? ফ্রিল্যান্সার ডটকম কি? ফ্রিল্যান্সার ডটকমে কোন
কাজের চাহিদা বেশি? ফ্রিল্যান্সার ডটকমের প্রোফাইল সেটআপ করার নিয়ম এ বিষয়গুলো
সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও
বিড করার কার্যকরী নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি
আপনার জন্য খুবই কার্যকরী।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম এ একাউন্ট খোলার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচনা Freelancer.com অ্যাকাউন্ট খোলা ও
বিড করার নিয়ম নিয়ে। সম্মানিত পাঠক আপনারা যদি Freelancer.com অ্যাকাউন্ট খোলা
ও বিড করার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চান, সেক্ষেত্রে আজকের এই আর্টিকেলটি
আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কোন অংশ স্কিপ না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
তবে যে সকল ব্যক্তিরা Freelancer.com এর মার্কেটপ্লেসে নতুন তারা মূলত এই
মার্কেটপ্লেসে কিভাবে একাউন্ট তৈরি করতে হয়? কিভাবে বিড করতে হয়? এই
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না। প্রিয় পাঠক আপনি যদি Freelancer.com
এই মার্কেটপ্লেসে সঠিক পদ্ধতিতে সঠিকভাবে কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই
সঠিক পদ্ধতিতে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
আর মূলত এই অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে বেশ কিছু নিয়ম আপনাদের অনুসরণ করতে হবে।
সেই নিয়ম গুলো আপনাদের সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করা হলো। প্রিয় পাঠক প্রথমে আপনি
গুগল অপশনে প্রবেশ করবেন এরপর Freelancer.com লিখে সার্চ করবেন। এরপর প্রথমে যে
ওয়েবসাইটটি আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে তার মধ্যে চলে যাবেন। এরপর প্রথম পেজের
Earn money freelancing নামে আপনি একটি অপশন দেখতে পাবেন, সেখানে আপনাকে ক্লিক
করতে হবে।
এরপর আপনার সামনে sign up নামে একটি পেজ প্রদর্শিত হবে, যেখানে আপনাকে একাউন্ট
রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রিয় পাঠক আপনি চাইলে আপনার ইমেইল আইডির মাধ্যমে
একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমেও
একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। সর্বোত্তম সাজেশন হচ্ছে ইমেইল আইডির মাধ্যমে
একাউন্ট ক্রিয়েট করা সবচাইতে উত্তম।
ইমেল আইডি পছন্দ করার পর আপনি একটি অপশন দেখতে পাবেন Join Freelancer নামে সেই
অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। এর পরের কাজ হচ্ছে আপনাকে সুন্দর একটি ইউজার নেম
সিলেক্ট করতে হবে, এমন একটি নাম আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে যেটি আগে অন্য কেউ কখনো
ব্যবহার করেনি। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার ইউজার নেম এর সাথে আপনার ফোন নাম্বার
অথবা আপনার জন্ম তারিখে যুক্ত করতে পারেন।
এরপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পরের কাজটি হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যদি বায়ার
হিসেবে কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনি I want to hire অপশন সিলেক্ট করবেন। আর যদি
আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে I want to work অপশনটি
নির্বাচন করবেন।
প্রিয় পাঠক উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনি যদি যথাযথভাবে উপরের নিয়ম গুলো মেনে
কাজ করেন, তাহলে উপরের এই বিষয়গুলো সিলেক্ট করার সাথে সাথে আপনার অ্যাকাউন্ট
সুন্দরভাবে ক্রিয়েট হয়ে সাইন আপ হয়ে যাবে। এরপর আপনার সামনে আরো কিছু অপশন
প্রদর্শিত হবে যেমন ধরুন আপনি কোন কোন কাজে বেশি অভিজ্ঞ, আপনার কোন কোন কাজে বেশি
দক্ষতা রয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি এই বিষয়গুলো আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।
এছাড়াও আপনি কোন কোন কাজে এক্সপার্ট এগুলো আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। আপনার যখন
অভিজ্ঞতা নির্বাচন করা হয়ে যাবে তারপর আপনার কাছে আরও একটি ড্যাশবোর্ড প্রদর্শিত
হবে। যেখানে মূলত আপনার প্রোফাইলের সাথে জড়িত সকল ধরনের যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করা
থাকবে। এরপর আপনাকে প্রফেশনাল মানের সুন্দর একটি প্রোফাইল পিকচার দিতে হবে এবং
এটাও সিলেক্ট করে উল্লেখ করতে হবে যে আপনি কোন ভাষায় পারদর্শী।
প্রিয় পাঠক এরপর আপনার প্রোফাইলটি যখন সুন্দর ভাবে ক্রিয়েট হয়ে যাবে এর পরের
কাজ হবে পেমেন্ট মেথড অ্যাড করতে হবে। তারপর আপনি আপনার পেমেন্ট মেথডটি অবশ্যই
খুবই দ্রুত ভেরিফাইড করে নিবেন। এরপর আপনি আপনার একাউন্টের মাধ্যমে কোন ধরনের
পেমেন্ট নিতে চান, সেটাও সিলেক্ট করে উল্লেখ করবেন। কেননা বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ
ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট নিয়ে থাকে। এজন্য আপনাদের
উচিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া। কেননা ব্যাংক একাউন্টের
মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া হচ্ছে সবচাইতে সহজ ও কার্যকরী ভালো একটি পেমেন্ট পদ্ধতি।
ফ্রিল্যান্সিং এ বিডিং মানে কি?
সাধারণত বর্তমান সময়ে যে সকল নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে প্রত্যেকেরই জানা উচিত
ফ্রিল্যান্সার বিডিং কি? এই সম্পর্কে। ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলেই প্রতিনিয়ত
আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সেগুলোর মধ্যেই অন্যতম একটি হচ্ছে
বিডিং। সাধারণত আমরা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকি বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট নেওয়ার
জন্য। তবে এই প্রজেক্ট গুলো পাওয়ার জন্য এই প্রজেক্ট এর জন্য কিছু নিয়ম-কানুন
অনুসরণ করে আবেদন করতে হয়।
যখন সুন্দর ভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে যাবে এরপর ড্যাশবোর্ডে
নানান ধরনের প্রজেক্ট দেখা যাবে। মূলত এই প্রজেক্টগুলো দেখানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে
যারা যে প্রজেক্ট করতে চাই সে অনুযায়ী তারা নিয়ম-কানুন মেনে আবেদন করবে। মূলত
এই প্রজেক্টগুলো নেওয়ার জন্য যে নিয়ম-কানুন গুলো মেনে আবেদন করতে হয় সাধারণত
এটিকে ফ্রিল্যান্সিং বিডিং বলে। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে বিডিং হচ্ছে সাধারণত
একজন ক্লায়েন্ট অনলাইন বিডিং প্ল্যাটফর্মে তাদের সকল প্রজেক্ট গুলো বা অর্ডার
গুলো জমা দেই।
আর যে সকল নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তারা এই অর্ডার গুলো দেখার পর বিডিং
শুরু করেন। আর হ্যাঁ সেখানে কাজের দাম, পারিশ্রমিক, বা রেমুনেশন উল্লেখ করা থাকে।
তারপর একজন ক্লায়েন্ট যারা যারা এ কাজগুলো করার জন্য আবেদন করেছিল সেই
ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইলগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। যাদের প্রোফাইল দেখে
তাদের ভালো লাগে তাদের মনে হয় যে এদের দিয়ে কাজ করানো যায় তাদের প্রোফাইলের
বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট রিভিউ ইত্যাদি দেখে কাজ করানোর জন্য এক বা একাধিক
ঠিকাদার নির্বাচন করেন।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়?
সম্মানিত পাঠক ইতিমধ্যেই আপনারা Freelancer.com অ্যাকাউন্ট খোলা এবংবিড করার
নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক আপনারা যারা
ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনাদের নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান তাদের সাধারণত যেই
সকল বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত জরুরী সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কিভাবে
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়? কেননা প্রথমে প্রত্যেক মানুষই টাকা ইনকাম করার জন্য
নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন।
যেমন আমাদের মধ্যেই অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই কাজগুলো শুরু
করতে চাই। কিন্তু কিভাবে শুরু করবে সেটা তারা বুঝে উঠতে পারে না। প্রিয় পাঠক
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান এবং ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনার ক্যারিয়ার
গড়তে চান একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন বিস্তারিত সবকিছু
জানতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে থেকেই
পরিকল্পনা করতে হবে যেমন ধরুন কিভাবে কাজ করবেন? কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে
যাবেন? কিভাবে নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে তুলবেন? ইত্যাদি বিষয়ে
আপনাকে পরিকল্পনা করে তারপর এগোতে হবে। কেননা পরিকল্পনা ছাড়া একজন ব্যক্তি কখনোই
সফলতা লাভ করে না, সেটা যেকোনোই কাজ হোক যারা পরিকল্পনা করে সেই কাজে সফলতা
নিশ্চিত।
তবে শুধু পরিকল্পনা করলেও হবে না সাথে সাথে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যে
কাজটা করতে চাচ্ছেন সেটাতে সময় দিতে হবে, ধৈর্য ধরে কাজটা করে যেতে হবে, তাহলে
সফলতা আপনার নিশ্চিত। এছাড়াও আপনাকে জেনে নিতে হবে কোন কোন সেক্টরে কাজ সবচেয়ে
বেশি? কোন কোন সেক্টরে কাজ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয়গুলো জেনে
নিয়ে তারপর আপনাকে আপনার পরিকল্পনা করতে হবে।
প্রত্যেক মানুষের নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকা অত্যন্ত জরুরী। কেননা আপনার যদি
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস না থাকে, তাহলে আপনি কোন কিছুতে কিভাবে সফলতা অর্জন
করবেন। এজন্য আগে নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন। অনেক ব্যক্তি রয়েছে
যারা অল্পতেই ভেঙে পড়ে, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, এটা করা যাবে না।
এছাড়া অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা একটা কাজ একবার দুইবার করলো সফলতা পেল না, তাহলে
হাল ছেড়ে দেয়, হতাশ হয়ে পড়ে, এটা কখনোই করা যাবে না। কখনোই এটা মনে করা যাবে
না যে আমি এই কাজটি করতে পারবো না? সব সময় মনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে হবে আমি
কাজটি করতে পারব, তাহলে দেখবেন আপনি মনে অনেক জোর পাবেন। আর ঐ কাজটা আপনি করতে
পারবেন।
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস থাকা অত্যন্ত
জরুরি। আপনার যদি আত্মবিশ্বাস না থাকে, তাহলে আপনি কখনোই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার
হতে পারবেন না। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার
হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাহলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। সব
সময় চেষ্টা করবেন আপনার যে কাজটা ভালো লাগে,
যেটা করলে আপনি আনন্দ পান, যে কাজ করার প্রতি আপনার আগ্রহ আছে, সেই কাজটা বেছে
নেওয়ার। এমন কাজ কখনোই বেছে নিবেন না? যে কাজ সম্পর্কে আপনার কোন রকম ধারণা নেই,
আপনি কখনো ওই কাজ সম্পর্কে শোনেননি, সে সকল কাজ করা থেকে অবশ্যই নিজেকে বিরত
রাখবেন। আর সব সময় চেষ্টা করবেন যে কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ বেশি রয়েছে, আপনি
যে কাজটি করতে পছন্দ করেন, সেই সিলেক্ট করে, সেই কাজে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন
করার।
কেননা আপনি যদি একটি কাজের বিষয়ে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে আপনার
কাজের অভাব হবে না। বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নানান
ধরনের কাজ রয়েছে। আপনি যদি যেকোনো একটি বিষয়ে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করেন,
তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না ইনশাআল্লাহ। প্রিয় পাঠক এজন্য সঠিক পরিকল্পনা
করে, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে, পছন্দের কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি
আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন,আপনারা চাইলে নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার
হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
কেন ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলা উচিত?
Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড করার নিয়ম এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা
যায় এর সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা
করব কেন ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলা উচিত? এই সম্পর্কে। সাধারণত বর্তমান সময়ের
খুবই ডিমান্ডেবল এবং গুরুত্বপূর্ণ পাশাপাশি চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ হলো
ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমান সময়ে মানুষ নিজের ক্যারিয়ার হিসাবে ফ্রিল্যান্সিংকে
বেছে নিচ্ছে।
কেননা বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। এই
সেক্টরের মানুষ নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারছেন
পাশাপাশি এখান থেকে প্রতি মাসে খুবই ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারছেন। এজন্য
মানুষজন ফ্রিল্যান্সিং এর ঝুঁকে পড়ছে। মানুষ ফ্রিল্যান্সিংকে এই জন্যই নিজের
কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিচ্ছে।
বর্তমান সময়ে ঘরে বসে এই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করা যায়। এখানে ধরা বাধা কোন
টাইম নেই। যে কোন সময়ে যে কোন জায়গায় অবস্থান করে এই সেক্টরে কাজ করা যায়।
ছেলে, মেয়ে, গৃহিণী, তরুণ, তরুণী, সকল মানুষ এখানে কাজ করতে পারবে। প্রিয় পাঠক
আপনারা যারা ঘরে বসে কাজ করতে চান, আপনাদের জন্য সবচেয়ে বেস্ট হবে
ফ্রিল্যান্সিং। তবে আপনি যদি মনে করেন যে আপনি এখনই ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তাহলে
আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ ও কার্যকরী ৩৮টি উপায় ও নতুনদের জন্য
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজ সহজ হবে?
কেননা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যে
কোন একটি বিষয়ে কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার
জন্য বেশ কিছু নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম বিদ্যমান রয়েছে সেগুলোতে আপনাদের কাজ করতে
হবে। প্রিয় পাঠক আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সেই মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ
করেন, তাহলে অবশ্যই আপনারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনাদের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে
পারবেন।
এছাড়াও অনেক ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমন ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল
পার আওয়ার, ফাইবার, অপওয়ার্ক সহ আরও বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস। প্রিয় পাঠক
আপনি চাইলে এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বায়ারদের সাথেও কাজ করতে
পারবেন, আবার আপনি যদি চান বাইরের দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করতে তাহলে সেটাও
পারবেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার জগতে নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার
হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি ফ্রিল্যান্সিং
অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
ফ্রিল্যান্সার ডট কমে বিডিং করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক Freelancer.com এ বিডিং করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে
বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে চান,
সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিডিং করতে হবে। এজন্য আপনাকে কিভাবে বিডিং করতে হয়,
বিডিং করার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কেননা আপনি যদি বিডিং করার নিয়ম
সম্পর্কে ভালোভাবে না জানেন, সেক্ষেত্রে আপনি কখনোই কাজ পাবেন না।
সাধারণত নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ফ্রিল্যান্সার ডটকমে কিভাবে আবেদন করতে হয়, কিভাবে
বিডিং করতে হয়, এগুলো সম্পর্কে জানেন না। প্রিয় পাঠক তাহলে চলুন জেনে নেওয়া
যাক কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ডটকমে বিডিং করতে হয় এই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
প্রিয় পাঠক প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ডটকমে কিভাবে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে
হয়, সেই নিয়ম অনুসরণ করে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
এরপর আপনাকে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। এরপর ফ্রিল্যান্সার ডটকম একাউন্টে
আপনারা প্রজেক্ট নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের
কাজগুলো বা প্রজেক্ট গুলো করার জন্য আপনাকে প্রজেক্ট বিডিং করতে হবে। আপনি সেখানে
বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট দেখতে পাবেন। আপনি যে কাজটিতে দক্ষ, আপনি যে কাজটি করতে
চান, সেই প্রজেক্টে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
ক্লিক করার সাথে সাথে প্রজেক্ট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আপনার সামনে প্রদর্শিত
হবে। এরপর সেই প্রজেক্টে একজন ফ্রিল্যান্সার সম্পর্কিত যে সকল তথ্যগুলো চাইবে সেই
সকল ধরনে অভিজ্ঞতা দক্ষতা এবং যাবতীয় তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে। আপনাকে এটিও
উল্লেখ করতে হবে কেন আপনাকে এই প্রজেক্টটি দেওয়া উচিত এই বিষয়টি যুক্তি দিয়ে
উল্লেখ করতে হবে।
এছাড়াও আপনি কত দিনে সে প্রজেক্টে কমপ্লিট করে দিতে পারবেন? সেটাও উল্লেখ করে
দিতে হবে এবং এর বিনিময়ে আপনি কত টাকা নেবেন সকল ধরনের তথ্য দিতে হবে। সাধারণত
যে ব্যাক্তি এই প্রজেক্ট পাবলিশ করেছেন তার কাছে সকল ধরনের প্রজেক্ট বিডিং সরাসরি
প্রেরণ করতে হবে। যদি আপনার অফার গুলো বায়ারের পছন্দ হয়ে যায়,
তাহলে বায়ার আপনাকে প্রজেক্ট দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবেন। আর যদি না পছন্দ
হয়, তাহলে তো বুঝতেই পারছেন রিজেক্ট করে দেবে। এজন্য প্রিয় পাঠক freelancer.com
এ কাজ পাওয়ার জন্য বিডিং করার নিয়ম মেনে বিডিং করবেন সবকিছু ভালোভাবে উল্লেখ
করবেন। তাহলে বায়ার আপনাকে কাজ দিতে অবশ্যই আগ্রহ প্রকাশ করবে।
ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে কাজ করে?
Freelancer.com অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে বিড করার নিয়ম ইতিমধ্যেই আমরা
আলোচনা করে ফেলেছি। এখন আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে কাজ করে? এই
সম্পর্কে। এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। যেহেতু আজকের এই আর্টিকেলটিতে
ফ্রিল্যান্সার ডটকম নিয়ে আমরা বিস্তারিত সবকিছু আলোচনা করছি, সেহেতু প্রিয় পাঠক
চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক একজন ফ্রিল্যান্সার আসলে কিভাবে কাজ করে? এই
সম্পর্কে।
সাধারণত একজন ফ্রিল্যান্সার তার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে অভিজ্ঞতা দিয়ে এই
মার্কেটপ্লেসে কাজ করে। যার মূলত ফ্রিল্যান্সার সেক্টরের কোন কাজে দক্ষতা নেই,
তাকে কখনোই ফ্রিল্যান্সার বলা যাবে না। কেননা একজন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন
মার্কেটপ্লেস থেকে তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে কাজ পাবেন। প্রিয় পাঠক
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরের যে কোন একটি কাজে খুবই ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বেশ কিছু চাহিদা সম্পন্ন কাজ রয়েছে সেগুলো হলো ডিজিটাল
মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সহ আরো
বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। আপনি যদি চাহিদা সম্পন্ন কাজ গুলোর মধ্যে থেকে দক্ষতা
অর্জন করতে পারেন, তাহলে এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেন। প্রথমে একজন
ফ্রিল্যান্সারকে যেকোনো একটি চাহিদা সম্পন্ন কাজে আগে দক্ষতা অর্জন করতে
হবে।
এরপর যতো গুলো মার্কেটপ্লেস বিদ্যমান রয়েছে সব গুলোতে একটি করে একাউন্ট ক্রিয়েট
করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর প্রফেশনাল মানের প্রোফাইল পিকচার যুক্ত করতে
হবে। এরপর আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবে। যদি এই সকল কাজ গুলো ভালোভাবে না করা
হয়, তাহলে কোন মার্কেটপ্লেসে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। সাধারণত বিভিন্ন
মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে গেলে বায়ারদের প্রজেক্ট দিয়ে থাকে
গিগ। যদি বায়ারের কোন ফ্রিল্যান্সারের গিগ পছন্দ হয়, তাহলে তারা তাকে অর্ডার
দিয়ে থাকেন। এরপর একজন ফ্রিল্যান্সার কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার পর সঠিক সময়ে
বায়ারকে কাজ প্রদান করেন।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম কি?
অনেকে আমাদের কাছে জানতে চাই ফ্রিল্যান্সার ডটকম কি এই সম্পর্কে মূলত তাদের জন্যই
আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা,যারা জানতে চাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সার ডটকম হচ্ছে খুবই জনপ্রিয় একটি
মার্কেটপ্লেস। সারা বিশ্বে যতো গুলো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেগুলোর মধ্যে
একটি ফ্রিল্যান্সার ডটকম।
সাধারণত ফ্রিল্যান্সার সেক্টরে যতো ধরনের কাজ বিদ্যমান রয়েছে আপনারা সব ধরনের
কাজ এই ফ্রিল্যান্সার ডটকম মার্কেটপ্লেসে পাবেন। দেশি-বিদেশি সকল ধরনের বায়ার এই
মার্কেটপ্লেসে রয়েছেন। প্রিয় পাঠক আপনি কি মনে মনে ভাবছেন আপনি মুক্ত পেশায়
যুক্ত হবেন, ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সার ডটকম থেকে আপনি চাইলে কাজ
করতে পারবেন।
এই মার্কেটপ্লেস যেমন অত্যন্ত জনপ্রিয়, ঠিক তেমনি খুবই বিশ্বস্ত এবং এখানে সব
ধরনের কাজ পাওয়া যায় যেমন দেশি ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি। সাধারণত দুই ধরনের
ব্যক্তি এই ফ্রিল্যান্সার ডটকম মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন। যারা বিভিন্ন ধরনের
সার্ভিস ক্রয় করে থাকে টাকার বিনিময়ে তাদেরকে মূলত বায়ার বলা হয় এবং যারা
বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা
হয়।
প্রিয় পাঠক আপনার যদি ফ্রিল্যান্সার সেক্টরের বিভিন্ন ধরনের কাজ জানা থাকে অথবা
যে কোন একটি কাজে দক্ষতা থেকে থাকে, তাহলে আপনিও চাইলে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে একটি
অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে তুলতে
পারবেন। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে
ফ্রিল্যান্সিং ডটকম।
ফ্রিল্যান্সার ডটকমে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
ফ্রিল্যান্সার ডটকমে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি? এই বিষয়ে আমাদের কাছে অনেকে
জানতে চাই বিশেষ করে যারা নতুন তারা বেশি জানতে চায়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে
নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ফ্রিল্যান্সার ডটকম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি
মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্সার ডটকম মার্কেটপ্লেস হচ্ছে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস
গুলোর মধ্যে একটি। সারা বিশ্বের যতো গুলো ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস রয়েছে
সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার ডটকম।
প্রিয় পাঠক আপনি যেমন এই মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন, ঠিক
তেমনি অন্যদেরকে দিয়ে এই মার্কেটপ্লেস এ কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। আপনি যদি
ফ্রিল্যান্সার সেক্টরের যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে আপনি খুব
সহজেই এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে সক্ষম হবেন। যে কাজগুলোর চাহিদা সব চাইতে বেশি
সেগুলো মূলত প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়।
প্রিয় পাঠক আপনি যেহেতু বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে কোন কাজের চাহিদা এ
সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন সেহেতু আপনাকে আমি সাজেস্ট করতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং
কে। কেননা বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আবার বিভাজন রয়েছে এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,
ইউটিউব মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ইমেল মার্কেটিং ইত্যাদি।
এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডেভলপার, ওয়েব ডিজাইন, এই কাজগুলো বর্তমান
সময়ে বেশ চাহিদা সম্পন্ন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যে আবার অনেকগুলো কাজ রয়েছে
যেমন এনিমেশন ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, 2D ডিজাইন ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে ডাটা
এন্ট্রি, আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,সহ বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি
রয়েছে এই কাজ গুলোতে আপনি যদি একবার দক্ষতা অর্জন করতে পারেন,
তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে ভালো কিছু করতে সক্ষম হবেন। বর্তমান সময়ে এই
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজগুলো করে অনেক মানুষ প্রতিমাসে খুবই ভালো পরিমাণে অর্থ
উপার্জন করছেন তাহলে আপনি কেন পারবেন না? আপনার মূল্যবান সময় গুলো অযথাই নষ্ট না
করে আজই ফ্রিল্যান্সিং ডটকমের চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলোর মধ্যে একটিতে ভালোভাবে
দক্ষতা অর্জন করে আজই কাজ শুরু করে দিন।
ফ্রিল্যান্সার ডটকমের প্রোফাইল সেটআপ করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সার ডটকমের প্রোফাইল সেটআপ করার নিয়ম সম্পর্কে
না জানেন তাহলে কখনোই প্রোফাইল সুন্দরভাবে ক্রিয়েট করতে পারবেন না। প্রিয় পাঠক
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করতে চান
এবং নিয়মিত কাজ পেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রোফাইল সুন্দরভাবে
সাজিয়ে গুজিয়ে সেটআপ করতে হবে।
কেননা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে যার প্রোফাইল যতো সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে
সেটআপ করা থাকবে, তার কাজ পাওয়া সম্ভব না ততে বেশি। কেননা একজন বায়ার একজন
ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইল দেখার পর সিদ্ধান্ত নেই তাকে দিয়ে কাজ করাবে কিনা?
একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইল হচ্ছে তার ব্যক্তিত্ব। যেমন ধরুন সে কোন কোন কাজ
ভালো পারে তার রিভিউ গুলো দেখে? প্রোফাইল সুন্দরভাবে সাজানো আছে কিনা সেটা দেখে?
ইত্যাদি।
এছাড়াও তারা দেখবে ফ্রিল্যান্সার ডটকমের একাউন্ট তৈরি করার সময় যে সকল যাবতীয়
তথ্যগুলো প্রয়োজন হয় সেগুলো অরিজিনাল কিনা? এজন্য প্রিয় পাঠক সকল যাবতীয়
প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিক দিবেন। প্রোফাইল এ যাবতীয় সকল সঠিক তথ্য দেওয়ার পর
সুন্দর এবং আকর্ষণীয় একটি প্রোফাইল পিকচার এড করতে হবে। সব সময় প্রোফাইল পিকচার
প্রফেশনাল মানের দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
কেননা প্রফেশনাল মানের প্রোফাইল পিকচার প্রোফাইলের মর্যাদা অনেক গুণ বাড়িয়ে
দিতে সাহায্য করে। প্রোফাইল সুন্দর করে ক্রিয়েট করা এবং সুন্দর করে সাজানোর জন্য
প্রোফাইলে যথেষ্ট পরিমাণের সময় দিয়ে কাজ করতে হবে এবং সেখানে আপনার কাজ
সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সকল যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।
লেখকের ইতি কথাঃ Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড করার কার্যকরী নিয়ম
সম্মানিত পাঠক, আশা করি উপরোক্ত আলোচনাগুলো থেকে Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও
বিড করার কার্যকরী নিয়ম এ বিষয়ে সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে জানতে
পেরেছেন। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সবচাইতে জনপ্রিয় ইনকাম করার মাধ্যম। এখানে
একটু বুদ্ধি খাটালেই স্বল্প পরিশ্রমে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাই
Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড করার কার্যকরী নিয়ম
এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিলে খুব সহজেই আপনি
ফ্রিল্যান্সিং করে খুব স্বল্প সময় সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভালো কিছু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে Freelancer.com
একাউন্ট খোলা ও বিড করার কার্যকরী নিয়ম এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে
তাহলে আপনি খুব সহজেই সফল হতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্যবহুল
কার্যকরী ও উপকারী আর্টিকেল নিয়মিত পোস্ট করে থাকি। তাই আপনি যদি এ ধরনের আরও
তথ্যবহুল ও উপকারী সব আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ফলো করুন। সাথে সাথে এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয়,
বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের কাছে তাদের উপকারার্থে শেয়ার করে দিন।
যেন তারা Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড করার কার্যকরী নিয়ম এ বিষয়ে
সম্পর্কে পুরোপুরি ভালোভাবে জেনে নিতে পারে। Freelancer.com একাউন্ট খোলা ও বিড
করার কার্যকরী নিয়ম এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত বা
প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া মতামত বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আবার
আপনাদের সাথে কথা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ ও সুস্থ
থাকুন।
কনফিডেন্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url